বালিশকাণ্ডের দায় শুধু প্রকৌশলীরা নয়, মন্ত্রণালয়ও এড়াতে পারে না


রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বালিশকাণ্ডের মতো ঘটনার দায় যেমন প্রকৌশলীরা এড়াতে পারেন না, তেমনি মন্ত্রণালয়ও এর দায় এড়াতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) প্রেসিডেন্ট এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর।

শনিবার রাজধানীর রমনায় আইইবির কাউন্সিল হলে পুরকৌশল বিভাগের উদ্যোগে ‘সরকারি ক্রয়-প্রক্রিয়ার বর্তমান অবস্থা : বাংলাদেশ প্রেক্ষিত’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর বলেন, বালিশকাণ্ডের দায় শুধু প্রকৌশলীদের একার নয়, দায়ভার মন্ত্রণালয়েরও রয়েছে। বালিশকাণ্ডের পর সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ) তাদের বক্তব্য জনগণের সামনে তুলে ধরেনি। তারা এই বিষয়টি জনগণের সামনে পরিষ্কার করেনি। তবে বালিশকাণ্ডের মতো যেন আর কোনো ঘটনা ভবিষ্যতে না ঘটে সেদিকে প্রকৌশলীদের পাশাপাশি মন্ত্রণালয়েরও কড়ানজর রাখতে হবে। এসব ঘটনার জন্য যেন সরকারের কোনো ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন না হয় সেদিকেও লক্ষ রাখতে হবে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রকৌশলীরা দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা সুযোগ দিয়েছেন বলেই প্রকৌশলীরা দেশের বড় বড় মেগাপ্রকল্প পরিচালনা করছেন। দেশের অনেক উন্নয়ন করছেন। তবে প্রকৌশলীদের আরও বেশি দক্ষতা প্রয়োজন। প্রকৌশলীরা যত বেশি দক্ষ হবেন দেশের উন্নয়নের তারা তত বেশি ভূমিকা রাখতে পারবেন।

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দেশের উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শেষ করার জন্য প্রকৌশলীদের তাগিদ দিয়ে মো. আবদুস সবুর বলেন, অনেক সময় দেখা যায়- প্রকল্পের কাজ শেষ করতে অনেক সময় বেশি লাগে। যার ফলে বাজেট আরও বাড়াতে হয়। কিন্তু প্রকল্পগুলো যখন করা হয় তখন প্রকৌশলীরাই এই সময় বেঁধে দেন। আমি প্রকৌশলীদের বলব- প্রকল্পের জন্য যতটুকু সময় প্রয়োজন ততটুকু সময় দেবেন। তার চেয়ে কম বা বেশি সময় দেবেন না। তারপর মন্ত্রণালয় কী করবে সেটা তাদের বিষয়। আপনারা (প্রকৌশলীরা) আপনাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবেন।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে প্রকৌশল ডিগ্রি দেয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের আরও বেশি দক্ষ করে গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়ে আইইবি প্রেসিডেন্ট বলেন, সামনে আইইবির ওয়াশিংটন অ্যাকর্ড পেতে হবে। ওয়াশিংটন অ্যাকর্ড পেলে আইইবির সদস্য প্রকৌশলীরা আন্তর্জাতিক মর্যাদা পাবে। যার ফলে আগামী দিনে যারা আইইবির সদস্য পদ নিতে আসবেন তারা দক্ষ না হলে হবে না।

গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন- আইইবির পুরকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. হাবিবুর রহমান। অনুষ্ঠানে মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন আইইবির পুরকৌশল বিভাগের সম্পাদক প্রকৌশলী শেখ তাজুল ইসলাম তুহিন।

আলোচনায় আরও অংশ নেন চিপস বাংলাদেশের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল হুদা, এলজিইডির প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. জসিম উদ্দিন, বিশ্বব্যাংকের প্রকিউরমেন্ট স্পেশালিস্ট প্রকৌশলী গোলাম ইয়াজদানী, এলজিইডির প্রকিউরমেন্ট ইউনিটের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তার, সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মো. শরিফুল ইসলাম, ন্যাশনাল ট্রেইনার প্রকৌশলী সোনিয়া নওরিন প্রমুখ।


শর্টলিংকঃ