বালিশকাণ্ড ঘৃণাকারীরাও অন্য কোনভাবে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত : রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষ


মেহেদী হাসান:

দেশসেরা রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মহা. হবিবুর রহমান বলেছেন, আমাদের সচেতনতা এবং নৈতিকতা বৃদ্ধি করতে হবে। বালিশ কান্ডের দুর্নীতিকে যারা ঘৃণা করেন, তারাও দেখা যায় কোনো না কোনোভাবে নিজেকে অন্য দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে রেখেছেন। সমাজের সর্বস্তরে প্রত্যেককে সচেতন হতে হবে। নৈতিকতা বৃদ্ধি করতে হবে। তবেই সামাজিক অবক্ষয় রোধ করা সম্ভব।

রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মহা. হবিবুর রহমান

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে কলেজ মিলনায়তনে দর্শন বিভাগের আয়োজনে বিশ্ব দর্শন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনার ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, কিছুদিন আগে লবণকাণ্ড ঘটে গেল। প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে, ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র,বিশ্ব সবকিছুতেই নৈতিকতা প্রতিষ্ঠা করতে পারলেই কেবল সামাজিক অবক্ষয় রুখতে পারা যাবে।

অধ্যক্ষ বলেন, ঘনিষ্ঠ হয়ে পাশাপাশি দুটি ছেলে-মেয়ে একান্তে বসে থাকলে তারা কে হয়? নিশ্চয়ই তারা ভাই-বোন না? আমরা তাদের দেখেও যদি কিছু না বলি তাহলে আমরাও নৈতিকতা বিবর্জিত মানুষ হয়ে গেলাম।

দর্শন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর মাহমুদা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কলেজ উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাঃ আব্দুল খালেক, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক প্রফেসর পীযূষ কান্তি ফৌজদার। এছাড়াও অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক বিভাগের প্রফেসর রাজিয়া সুলতানাসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বর্তমান সময় চরম নৈতিকতা ও সামাজিক অবক্ষয়ের দিকে চলেছে। আমাদের প্রত্যেককে এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। শুধুমাত্র মুখস্থ করা বিদ্যা কাজে লাগে না। নৈতিকতা ও মূল্যবোধ অর্জনের জন্য পড়াশোনা করতে হবে।

বক্তারা আরো বলেন, বর্তমানে দেখা যাচ্ছে পড়াশোনা শুধুমাত্র বইয়ের কাগজেই থেকে যাচ্ছে। আমাদের ভেতরে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না। শিক্ষার সাথে নৈতিকতা-মূল্যবোধের সমন্বয় ঘটিয়ে একটি আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। ধর্মীয় শিক্ষা বাড়াতে হবে। সব ধর্মের মূল কথা সত্য এবং ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা। সবার আগে প্রয়োজন আমাদের বিভিন্ন জায়গাতে নৈতিকতাসম্পন্ন মানুষের অবস্থান নিশ্চিত করা।

অনুষ্ঠানের শুরুতে র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র‌্যালিটি কলেজের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে কলেজ মিলনায়তনে শেষ হয়।


শর্টলিংকঃ