বিউটি অ্যাপের প্রভাবে চীনে বাড়ছে প্লাস্টিক সার্জারি


ইউএনভি ডেস্ক:

চীনে বিউটিফিকেশন ক্যামেরা অ্যাপের প্রভাব পড়ছে একটু ভিন্ন ভাবে। এই ধরনের অ্যাপ ব্যবহার করতে করতে অনেক তরুণী বিউটিক্যামের মেকি চেহারায় মজেছেন। এ মাত্রা এতটাই যে, নিজের চেহারার চেয়ে ক্যামেরার চেহারাকে বেশি পছন্দ তাদের।এই পছন্দ থেকে অনেকে প্লাস্টিক সার্জারির টেবিলে পর্যন্তও চলে যান।

বিভিন্ন সার্জারির মাধ্যমে নিজের মতো করে চেহারাকে নিখুঁত বানানোর চেষ্টা করছেন।এমনই একজন হচ্ছেন উ শিয়াওচ্যান। ১০০ সার্জারির পর তিনি অবশেষে তার নিখুঁত চেহারা বানিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন।দশ বছর আগেও চীনে প্লাস্টিক সার্জারি করা একজন নারী খুঁজে পাওয়া দুষ্কর ছিল। এখন পরিস্থিতি তার উল্টো। বর্তমানে প্লাস্টিক সার্জারি করাননি এমন নারী খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।

২০২৩ সালের মধ্যে এই খাত থেকে কেবল লাভ অনুমান করা হচ্ছে পাঁচ কোটি ডলারের বেশি।হঠাৎ চীনের প্লাস্টিক সার্জারি মার্কেটের এমন বিস্ফোরণের পেছনে আইটির ব্যবহার আছে ব্যাপক। কিছু প্লাস্টিক সার্জারি অ্যাপ পূর্বে ও পরে ছবিতে তুলনা করে দেখিয়ে দেন যে সার্জারির পরে একজন নারীকে কতটা সুন্দর দেখাবে। সেই সঙ্গে একই অ্যাপ থেকে রাখা হয়ে থাকে সহজ শর্তে ঋণের সুবিধাও।কট্টর পুরুষতান্ত্রিক চীনা সমাজে নারীর শারীরিক সৌন্দর্যের উপর নির্ভর করে তার চাকরি ও বর পাওয়া। ফলে সৌন্দর্যবর্ধনের এমন সুযোগ সহজলভ্য হওয়ার কারণে লুফে নিচ্ছে তরুণীরা।এমনই একটি অ্যাপ গ্যাংমেই। তিন কোটি ৬০ লাখ ব্যবহারকার করেছেন এটি। ২০ হাজার সার্জন এ অ্যাপে সেবা দিয়ে থাকেন। অ্যাপটি চেহারাকে পর্যালোচনা করে ১০০-তে নম্বর দেয়।এরপর নিজ থেকেই পরামর্শ দেয় চেহারাকে কীভাবে পরিবর্তন করলে তিনি আরও সুন্দর দেখতে পারেন।

আরও পড়ুন: ট্রাম্প-বারাদার ফোনালাপের পর তালেবানের হামলা, নিহত ২০

অ্যাপটিতে আলিপের দ্বারা মাইক্রো লোনও নেওয়া যায়।এই ধরুন চোখের আকার বাড়ানোর জন্য খরচ হচ্ছে ১৫০ ডলারের মতো। আপনার কাছে না থাকলে আলিপের মাইক্রো লোন নিয়ে নিতে পারবেন।সমস্যার বিষয় হচ্ছে এর ফলে অনেক নিম্নমানের সার্জনের আবির্ভাব ঘটেছে যারা কম খরচে কাজ করে থাকেন কিন্তু তাতে উপকার থেকে ক্ষতিই হয় বেশি।অবৈধ প্লাস্টিক সার্জারি ঠেকাতে এক হাজার ২০০ মামলাও পরিচালনা করেছে চীন সরকার।


শর্টলিংকঃ