বিচারের দাবিতে রাস্তায় বাবা : সংবাদ প্রকাশের পর তৎপর পুলিশ


আবু হাসাদ, পুঠিয়া:

পুঠিয়ায় মেয়েকে ধর্ষণের বিচারের দাবিতে রাস্তায় বাবা শিরোনামে ইউনিভার্সাল নিউজে  সংবাদ ও বাবা একাই ব্যানার হাতে নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে দাড়িয়ে থাকা ছবি প্রকাশের পর তা দেশব্যাপী ভাইরাল হয়।মুহুর্তের মধ্যে টনক নড়ে যায় থানা পুলিশের। সংবাদ প্রকাশের আধা ঘন্টার মধ্যে ভুক্তভোগীর খোঁজ খবর নিতে হাজির হন মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সংস্থার লোকজন।

ঘটনার শুরু থেকে পর্যায়ক্রমে ইউনিভার্সাল নিউজে সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে অসহায় পরিবারের পাশে থাকায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ভূক্তভোগি পরিবারসহ ওই এলাকার সাধারণ লোকজন।

ভূক্তভোগী সেলিম হোসেন বলেন, আমার মেয়েটি মারা যাওয়ার দু’মাস পেরিয়ে গেছে। তাকে হারিয়ে মনের মধ্যে কতটুকু কষ্ট নিয়ে দিন যাচ্ছে তা একমাত্র আল্লাহ জানেন। আমি ভ্যানচালক বলে থানার লোকজন এই মামলায় গুরুত্ব দিচ্ছেন না। যার কারণে নিজেই মেয়ের ওপর নির্যাতন ও তার আত্নহত্যার ন্যায় বিচারের দাবি নিয়ে ব্যানার হাতে রাস্তায় দাঁড়াতে হয়েছে।

এ ব্যাপারে সহকারী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুঠিয়া সার্কেল) আবুল কালাম সাহিদ বলেন, ওই মামলায় তিনজনকে আসামী করা হয়েছে। এর মধ্যে আমরা একজনকে আটক করেছি। তবে মূল আসামী এখনো পলাতক রয়েছে। দেশে করোনার প্রভাবের কারণে তাকে আটক করতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো প্রকার গাফিলতি হচ্ছে না বলে তিনি জানান।

উল্লেখ্য, এপ্রিলের শুরুতে ইভা খাতুন (১২) তার বড় বোন সদ্য বিবাহিতা উপজেলার হলহোলিয়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে ও তার দুলাভাই এখলাস আলীর বাড়িতে বেড়াতে যায়। সে সুযোগে লম্পট দুলাভাই জুসের মধ্যে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন অবস্থায় তাকে ধর্ষণ করে। পরে সে ৯ এপ্রিল দুপুরে রামজীবনপুর গ্রামের নিজ বাড়ি ফিরে লোকলজ্জায় ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্নহত্যা করে। এ ঘটনায় তার পিতা সেলিম হোসেন বাদী হয়ে ধর্ষক দুলাভাই তার পিতা ও মাতাকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।


শর্টলিংকঃ