বিটিআরসি’র সেবার মান নিয়ে আবার গণশুনানি হবে


ইউএনভি ডেস্ক:

গত বছর এবং ২০১৬ সালে প্রথমবার একই রকম গণশুনানির আয়োজন করে বিটিআরসি।সরাসরি গ্রাহকদের কাছ থেকে টেলিযোগাযোগ সেবা সম্পর্কে অভিযোগ বা মতামত জানতে তৃতীয়বারের মতো গণশুনানি আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

কমিশনের কর্মকর্তারা মনে করেন, গণশুনানি গ্রাহক সেবার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। আগামী ৩০ মার্চ সকাল ১১টায় রাজধানীতে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে এ শুনানি হতে পারে বলে জানা গেছে।

গণশুনানিতে অংশ নিতে ১৭ মার্চের মধ্যে বিটিআরসির ওয়েবসাইটে গিয়ে নিবন্ধন করার সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কমিশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা।তবে নিবন্ধিতরা সবাই অংশ নিতে পারবেন না। নির্দিষ্ট সময়ে আবেদনকারীদের মধ্য থেকে বাছাই করে গ্রাহকদের গণশুনানিতে অংশ নেওয়ার জন্য বলা হবে। যারা আমন্ত্রণ পাবেন তাদেরকে সেটির প্রিন্টেড কপি প্রবেশের সময় সঙ্গে রাখতে হবে এবং জাতীয় পরিচয়পত্রও আনতে হবে।

গত বছর ২০২ জন নিবন্ধন করলেও শেষ পর্যন্ত ১৬৫ জনকে অংশ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ করে বিটিআরসি। গণশুনানিতে কিছু গ্রাহক প্রশ্ন করার সুযোগ পেলেও অনলাইনে পাওয়া গ্রাহকদের এক হাজার ৩১৯ প্রশ্নের মধ্য থেকে নির্বাচিত ২৫টি প্রশ্নের উত্তর গত সপ্তাহে দিয়েছে বিটিআরসি।সংশ্লিষ্টদের মতে, অডিটের পাওনা আদায় সংক্রান্ত জটিলতার কারণে গ্রামীণফোন ও রবির ওপর অনেক দিন থেকে নানা রকম বিধিনিষেধ থাকায় এ মুহূর্তে গ্রাহক সেবার মান তলানিতে রয়েছে।

এ কারণে এখনই গণশুনানি না করতে কমিশনের কোনো কোনো কর্মকর্তা মতামত দিয়েছিলেন। তবে তা আমলে না নিয়ে গ্রাহকদের কথা শোনার পক্ষে মত দেন চেয়ারম্যান জহুরুল হক।আগের মতো এবারও গণশুনানিতে সব মোবাইল ফোন অপারেটরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ টেলিকম খাতের অন্যান্য সেবা প্রতিষ্ঠান, ভোক্তা সংঘ এবং সংশ্লিষ্ট পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হবে।উপস্থিত থাকবেন টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারও।

বিটিআরসি টেলিযোগাযোগ সেবার মান নিয়ে প্রথম গণশুনানি করেছিল ২০১৬ সালে ২২ নভেম্বর। তবে সেই গণশুনানিতে মোবাইল অপারেটরদের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ উঠলেও বেসরকারি কোনো মোবাইল অপারেটর অংশ নেয়নি।ওই সময় শুনানিতে অংশ নিতে অনলাইনে নিবন্ধন করেছিলেন এক হাজার ৫০ জন।

তবে অভিযোগ জানাতে ডাক পেয়েছিলেন ৪২০ জন। যদিও স্বল্প সময়ে মাত্র ৩২ জন অভিযোগ জানতে পারেন।রাজধানীর বাইরেও শুনানি করতে বিটিআরসিতে অনেকবার আলোচনা হলেও শেষ পর্যন্ত সে বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায়নি।তবে কমিশনের এখনকার কর্মকর্তারা বলছেন, এখন থেকে মাঝে মাঝেই এমন গণশুনানির আয়োজন করা হবে।


শর্টলিংকঃ