বিদ্যুতের পর এবার বিদেশ থেকে গ্যাস কেনার সিদ্ধান্ত সরকারের


আগামী দুই বছরের মধ্যে সরকার দেশের সব শিল্প কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ করতে চায় বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, পাশাপাশি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা তেল, গ্যাস, অনুসন্ধানের কাজও শুরু করতে চায় সরকার। আর এসব পদক্ষেপকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সকালে জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উদযাপন বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

নসরুল হামিদ বলেন, ‘এসব উদ্যোগ বাস্তবায়নে নানামুখী পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। বর্তমানে চাহিদার তুলনায় জ্বালানি সরবরাহ কম হচ্ছে, এখন প্রতিদিন ২ হাজার ৭৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন হয়, কিন্তু প্রতিদিন গ্যাসের চাহিদা হলো ৩ হাজার ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট। সে কারণে বিদ্যুতের মত গ্যাসও কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। চীন, কোরিয়া, নেপাল থেকেও আমদানির চিন্তা করা হচ্ছে। ফলে দেশের গ্যাসের চাহিদা কিছুটা হলেও পূরণ হবে।’

গ্যাসের চাহিদা মেটাতে সরকার ইতিমধ্যে ভোলাসহ দেশের কয়েকটি জায়গায় গ্যাস উত্তোলনের চেষ্টা করছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সে উদ্যোগ সফল হলে বরিশাল, খুলনা, যশোরসহ দক্ষিনাঞ্চলে গ্যাস সংযোগ দেওয়া সম্ভব হবে।

এছাড়া দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা তেল, গ্যাস উত্তোলনের জন্য দরপত্র আহ্বানের কথা জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন একবছরের মধ্যে দরপত্র আহ্বান করার চিন্তা রয়েছে। সেখানে শেভরন, গ্যাসফ্রমসহ কয়েকটি কোম্পানি অংশ নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম জ্বালানি তেল পাইপ লাইন ও কাঞ্চন ব্রিজ থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত জেট ফুয়েল সরবরাহ পাইপ লাইনের কাজ চলছে বলে সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানানো হয়। এছাড়া সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং এর মাধ্যমে দ্রুত জাহাজ থেকে তেল খালাস করে ইস্টার্ন রিফাইনারিতে নেয়ার উদ্যোগের কথাও জানান প্রতিমন্ত্রী।

নসরুল হামিদ বলেন, তেল পরিশোধনের জন্য ইআরএল ইউনিট-২ স্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে ইস্টার্ন রিফাইনারি মাধ্যমে বছরে ১৫ লাখ টন তেল পরিশোধিত হচ্ছে। দ্বিতীয় ইউনিট শুরু হলে আরও ৩০ লাখ টন অর্থাৎ মোট ৪৫ লাখ টন অপরিশোধিত তেল পরিশোধন সম্ভব। এছাড়া চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা পর্যন্ত জ্বালানি তেল পরিবহনের জন্য পাইপলাইন নির্মান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।


শর্টলিংকঃ