Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

বিবাহিত-মাদকাসক্তির অভিযোগ ২৬ ছাত্রদল পদপ্রার্থীর বিরুদ্ধে, রিজভীর মতে কুৎসা!


দীর্ঘ বিতর্কের পর ছাত্রদলের কাউন্সিল আয়োজনের ঘোষণা দিয়েও স্বস্তিতে নেই বিএনপি। ছাত্রদলের অনুষ্ঠিতব্য কাউন্সিলে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে ৭৫ জন মনোনয়ন পত্র জমা দিলেও এরমধ্যে ২৬ জনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই নেতারা বিবাহিত, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতসহ গুরুতর বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত বলেও জানা গেছে।

বিএনপির নয়াপল্টন পার্টি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রদলের মনোনয়ন সংগ্রহ করা ৭৫ জনের মধ্যে ২৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছে যাচাই-বাছাই কমিটি। বিয়েসহ আরও বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে এসব ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে। যেসব ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে বিয়ে সংক্রান্ত অভিযোগ তাদের মধ্যে অন্যতম সভাপতি পদপ্রার্থী আল মেহেদি তালুকদার, আরাফাত বিল্লাহ খান, আজিম উদ্দিন মেরাজ, এম আর আরজ আলী শান্ত ও মাইনুল ইসলাম।

এর বাইরে এসএসসি-২০০০ ও নিবন্ধন ১৯৯৮-৯৯ শিক্ষাবর্ষ সংক্রান্ত জটিলতায় আরও পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অধিকাংশ নেতার বিরুদ্ধে মাদকাসক্তি, চাঁদাবাজি, একাধিক বিবাহ, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়ানোর মতো অভিযোগ পাওয়া গেছে।

যাচাই-বাছাই কমিটি সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রদলে সভাপতি পদপ্রার্থী আসাদুল আলম টিটু কুখ্যাত সন্ত্রাসী যিনি কানা টিটু নামেই বেশি পরিচিত। কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ তার এলাকায় অবস্থিত সকল বস্তিতে হিরোইন ও গাজার ব্যবসা করে, এসএম আল আমিনের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক ধর্ষণ মামলা, জুয়েল মৃধার দাদা ছিলেন রাজাকার, আবদুল হান্নান কুখ্যাত সন্ত্রাসী পিচ্চি হান্নানের ভাতিজা।

অপরদিকে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থীদের মধ্যে সাইফ মাহমুদ জুয়েল হাওলাদার মোহাম্মদপুর এলাকায় চাঁদাবাজি করে। আরেক প্রার্থী আমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের অর্থ-আত্মসাতের একাধিক মামলা রয়েছে।

এদিকে ছাত্রদলের কাউন্সিল উপলক্ষে প্রার্থীদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক ছাত্রনেতা ও বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ বলেন, ছাত্রদলের পদপ্রার্থীদের অনেকের বিরুদ্ধেই নানা অভিযোগের বিষয়টি আমারও কানে এসেছে।

আসলে দীর্ঘদিন রাজপথে না থাকায় ছাত্র নেতারা কিছুটা পথভ্রষ্ট হয়েছেন। তবে তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ আমার কাছে খুব বেশি গুরুতর মনে হয়নি। মানুষের জীবনে দু-চারটি ভুল হতেই পারে। এগুলো নিয়ে আসলে রাজনীতি করার কিছু নেই। ছাত্রদলের নেতৃত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই এসব কুৎসা রটানো হচ্ছে।


Exit mobile version