বিশ্ববিদ্যালয় ও বিষয়ভিত্তিক চাকুরী!


বাংলাদেশে প্রায় ৪৩ টি (১টি প্রস্তাবিত) পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে। যার মধ্যে স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় ৪ টি। আজকের লেখার বিষয়টা অনেকটা হাস্যকর হলেও লেখার ইচ্ছাটা বহুদিনের। আমি যখন ২০১৭ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাই, অনেকেই আমার বিষয় শুনে নাক সিটকিয়ে বলেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান? এ তো আর্টস এর সাবজেক্ট। আমার বাবাকে অনেকে ধরে বলেছেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞানে পড়ে ফিউচার কি? ছেলেকে অহেতুক রাষ্ট্রবিজ্ঞানে পড়িয়ে লাভ কি আরো কত কি। আমি সত্যি গর্বিত রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়েই।

এখন আসি মূল কথায়।বাংলাদেশে বিষয়ভিত্তিক চাকুরীর সংখ্যা হাতে গোনা। একমাত্র ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার ছাড়া দিনশেষে সর্বোচ্চ সংখ্যক বিসিএস/ব্যাংক এসবের দ্বারস্থ হয়। আর কমদামী সাবজেক্ট? আমার মতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিষয়ই সমমাত্রিক।

বাংলাদেশের এই সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীই এ ধরনের মানসিক হয়রানির শিকার হন। আচ্ছা যদি সাবজেক্ট কমদামী ই হতো,তাহলে কেন বিষয়টি চালু করা হলো বা কেনই বা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যয় করছে এত টাকা? ভেবে দেখেছেন একবারো। তাই অবহেলা নয়, ভাবতে শিখুন।

বর্তমান প্রজন্ম খুব ভালোভাবে বুঝতে শিখেছে, আসলে বিষয় কোন বিষয়ই নয়, বিষয় হলো টিকে থাকা, স্কিল ডেভেলপমেন্ট হলো মূলকথা। এ্যারিস্টটল, প্লেটো সহ অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিই কিন্তু স্মরণীয় এসব তথাকথিত বিষয়গুলোর জন্যই। তাই দৃষ্টিভঙ্গি বদলান, জ্ঞানের রেখায় সীমা টানবেন না।

লেখক: সবুজ কুমার মহন্ত, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ ,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।


শর্টলিংকঃ