বিশ্বের ১০৯ ‘স্মার্ট সিটির’ তালিকায় নেই ঢাকা


ইউএনভি ডেস্ক:

বিশ্বের ১০৯ ‘স্মার্ট সিটি’র তালিকায় ঠাঁই হয়নি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাসহ কোনো শহরের। যদিও এতে প্রতিবেশী ভারতের চারটিসহ এশিয়ার অনেকগুলো নগরী স্থান করে নিয়েছে।


‘স্মার্ট সিটি-২০২০’র তালিকা প্রকাশ করেছে সুইস বিজনেস স্কুল অব ইন্সটিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট ডেভেলপমেন্ট (আইএমডি)। এটি তৈরিতে সহযোগিতা করেছে সিঙ্গাপুর ইউনিভার্সিটি ফর টেকনোলজি অ্যান্ড ডিজাইন (এসইউটিডি)। বৃহস্পতিবার রাতে তালিকাটি প্রকাশ করা হয়।

এটি তৈরিতে শহরের নাগরিকদের অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত তথ্যকে সূচক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া করোনাভাইরাস মহামারী তুলনামূলক ভালোভাবে মোকাবিলা করতে পারা শহরগুলোও গুরুত্ব পেয়েছে এবার। এ বছরের তালিকায় উপমহাদেশের মধ্যে ভারতের চারটি শহর থাকলেও আগের বছরের তুলনায় সেগুলোর ব্যাপক অবনমন হয়েছে।

২০১৯ সালের স্মার্ট সিটির ইনডেক্সে হায়দরাবাদ ৬৭তম স্থানে ছিল, এবার অবস্থান ৮৫তম। দিল্লি ৬৮ থেকে নেমে গেছে ৮৬তম স্থানে, মুম্বাই ৭৮ থেকে চলে গেছে ৯৩তম স্থানে এবং বেঙ্গালুরু ৭৯ থেকে নেমেছে ৯৫তম স্থানে।

আইএমডি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের শহরগুলোর (নয়াদিল্লি, মুম্বাই, হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু) উল্লেখযোগ্য অবনমন হয়েছে। করোনা মহামারীর সময়ে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি যুগোপযোগী না হওয়ার প্রভাবটা এর অন্যতম কারণ।

ট্রিপল ‘এ’ রেটিং নিয়ে স্মার্ট সিটির এই ইনডেক্সে টানা দ্বিতীয়বারের মতো শীর্ষে রয়েছে সিঙ্গাপুর সিটি। ডাবল ‘এ’ রেটিং নিয়ে দ্বিতীয়স্থানে আছে ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিংকি। ডাবল ‘এ’র রেটিংয়ের তালিকায় থাকা অন্য শহরগুলো হল- সুইজারল্যান্ডের জুরিখ, নরওয়ের ওসলো, ডেনমার্কের কোপেনহেগেন, সুইজারল্যান্ডের জেনেভা।

সিঙ্গেল ‘এ’ ক্যাটাগরির তালিকায় আছে ১৬টি শহর। এর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডিসি, জার্মানির মিউনিখ, ডুসেলডর্ফ, যুক্তরাজ্যের লন্ডন, ম্যানচেস্টার, নিউক্যাসল, অস্ট্রেলিয়ার সিডনি, মেলবোর্ন, ব্রিসবেন; কানাডার মন্ট্রিল ও ভাঙ্কুবার।

এই তালিকায় হো চি মিন, ওসাকা, টোকিও, সাংহাই, বেইজিং এবং ব্যাংককসহ এশিয়ার কয়েকটি শহর স্থান পেয়েছে। চলতি বছরের এপ্রিল ও মে মাসে ১০৯ শহরের নাগরিকদের ওপর একটি জরিপ চালানো হয়। জরিপে তাদের কাছে নিজের শহরের পাঁচটি বিষয়ের প্রযুক্তিগত সুবিধা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। এই পাঁচটি বিষয় হল- স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা, গতিশীলতা, কার্যক্রম, সুযোগ এবং সরকার ব্যবস্থা। আইএমডি বলছে, শহরগুলোর কোভিড-১৯ এর মতো এই ধরনের সংকটের সবচেয়ে ক্ষতিকারক প্রভাবগুলো আরও ভালোভাবে প্রতিরোধ করতে সক্ষম হওয়া উচিত।


শর্টলিংকঃ