Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

বৃষ্টিতে আম উৎপাদন নিয়ে শঙ্কায় চাঁপাইয়ের চাষীরা


তারেক রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ :
আমের অঞ্চল হিসেবে সারা বিশ্বে পরিচিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ। এখানকার মানুষের প্রধান অর্থকারি ফসল আম। মূলত এখানকার মানুষের প্রধান আয় হয় আম থেকে। গত কয়েক বছর টানা আমে লোকশানের পর গেল মৌসুম হতে ঘুরে দাড়ানোর স্বপ্ন দেখছে চাষীরা। তবে চলতি মৌসুমে প্রাকৃতিক বিপদ যেন পিছু ছাড়ছে না।

একদিকে কুয়াশা অন্য দিকে ফাগুনের বৃষ্টি। এছাড়াও বিপর্যয় হতে পারে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে।শুক্রবার বিকেল হতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় এক রকম মুসুলধারেই হয়ে যাচ্ছে বৃষ্টি। এতে আমের ফলন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন এখানকার আম চাষীরা। তারা ফাগুনের বৃষ্টিকে ক্ষতির মূল কারন হিসেবে দেখছেন।

কানসাট এলাকার আম বাগানী রবিউল আওয়াল জানান,গত কয়েক বছরের টানা লোকসানের পর এবার অনেক আশা নিয়ে গাছের পরির্চযা করেছেন। আবহাওয়া বিরুপ হওয়ার পরেও কিছু গাছে ইত মধ্যে গুটি এসেছে। এছাড়াও বর্তমানে প্রায় ৭ শতাংশ গাছে এখন ফুল রয়েছে। এসব মুকুল পচে নষ্ঠ হয়ে যাবে। আশানুরুপ ফল না হলেও একেবারে পথে বসতে হবে।

গোমস্তাপুর এলাকার অপর আম চাষী শরিফুল ইসলাম জানান,গেল সপ্তাহে হঠাৎ বৃষ্টিতে মুকুলের কিছুটা ক্ষতি হলেও আবহাওয়া ভাল থাকায় তা পুসিয়ে নিতে পেরেছিলাম। কিন্তু বর্তমানে দুই দিন যাবৎ একাধারে বৃষ্টি হওয়ায় গাছের সব ফুল নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
এ ছাড়া গাছে হপার পোকা,ছত্রাক ও পাউডারি মিলভিউ নামে আরও একটি রোগ বালাই বাসা বাধবে। যা কোন ভাবেই স্প্রে করে দমন করা যাবেনা। ফলে আম উৎপাদনে দেখা দিবে বড় ধ্বস।

এবিষয়ে জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ব গবেষনা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.জমির উদ্দীন জানান,টানা বৃষ্টিতে আমের কিছুটা ক্ষতি হবে। তবে নিষেধ থাকার পরেও ক্ষতি মেটাতে মুকুলে স্প্রে করা যেতে পারে।

কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় চলতি বছর ৩৩ হাজার হেক্টর জমিতে ২ লাখ ৩৯ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে ৪০ হাজার মেট্রিক টনের কম।


Exit mobile version