রোদ-বৃষ্টিতে ভারতীয় ভিসা প্রার্থীদের দুর্ভোগ


এম এ আমিন :
বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু আবেদনকারীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে। রাজশাহীতে ভারতীয় ভিসা অফিসের সামনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয় খোলা আকাশের নিচেই। এতে কখনো রোদে পুড়তে হয়, কখনো বা বৃষ্টিতে ভিজতে হয় আবেদনকারীদের।

মঙ্গলবার দুপুরে মহানগরীর বর্ণালীর মোড়ে অবস্থিত ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রে গিয়ে ভিসা সংগ্রহকারীদের বৃষ্টিতে ভিজে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।

নতুন নিয়মে অনলাইনে ভিসা সাক্ষাৎকারের জন্য নির্ধারিত তারিখ গ্রহন করতে হয় না। আবেদনকারীদের আশা ছিল এতে করে ভারতীয় ভিসা প্রাপ্তি সহজলভ্য হবে। কিন্তু প্রতিদিন চিকিৎসা ও ভ্রমণসহ নানা কারণে বিপুল সংখ্যক প্রার্থী ভিসার জন্য আবেদন করছেন। এতে কিন্তু এই বিপুলসংখ্যক প্রার্থীকে দ্রুত ভিসা প্রক্রিয়া শেষ করা সম্ভব হয় না। এ কারণে ভিসা অফিস থেকে বাইরে রাস্তার পাশে ফুটপাতেও দীর্ঘ লাইন চলে যায়।

রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার মৌগাছীর রিপন আলী জানান, এর আগে দুইবার ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি। অজ্ঞাত কারণে ভিসা পাননি। জুন মাসের ১৮ তারিখে এবার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদনপত্র জমা দিয়েছিলেন ভোর থেকে লাইনে দাড়িয়ে থেকে। আজ ভিসা গ্রহণের জন্য বেলা ১২ টার সময় থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন রোদ ও পরে বৃষ্টিতে ভিজে।

পবা উপজেলার ডাইংগেরহাটের ৫৫ বছরের বৃদ্ধ আলেক আলী বলছিলেন, ‘আমি ৩ বছর থেকে ভারতে চিকিৎসার জন্য যাতায়াত করছি। বারবারই এভাবে কষ্ট করে ৪/৫ ঘন্টা ধরে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে ভিসা নিতে হয়। ভিসা অফিসের সামনে সেড করে দিলে আমরা রোদ বৃষ্টি থেকে বাঁচতে পারতাম’।

দুর্গাপুরের কলেজ শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন ‘ এই লাইনে কয়েকশো মানুষ আমরা দাঁড়িয়ে আছি। বৃষ্টিতে ভিজে গিয়েছি। অফিসের ভেতরে তো আর সবার জায়গা হয় না ।

এ বিষয়ে রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান বলেন, সুস্থ মানুষের পাশাপাশি অনেক অসুস্থ এবং বৃদ্ধসহ নারীরাও আসেন ভিসার আবেদন নিয়ে। তাদেরকেও এভাবে কষ্ট করে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। ঢাকায় অনেক দূতাবাসের সামনে ফুতপাতের উপর সেড রয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকেও এ ধরনের উদ্যোগ নেয়া হলে জনগণ উপকৃত হবে।


শর্টলিংকঃ