Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

ব্যবসায়ীদের ফাঁদে ফেলে অর্থ হাতিয়ে নিতেন তারা


ইউএনভি ডেস্ক:

রংপুরে এক ব্যবসায়ীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মোটা অংকের টাকা আদায়, অশ্লীল ভিডিও ধারণসহ চাঁদাবাজির অভিযোগে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।মঙ্গলবার (১ জুন) দুপুরে এক সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পিবিআই রংপুরের পুলিশ সুপার এবিএম এম জাকির হোসেন।


গ্রেফতাররা হলেন রংপুর নগরীর সরদারপাড়া কেল্লাবন্দ এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান চঞ্চল (৩২) ও রাধাবল্লভ এলাকার মৃত মাহবুবার রহমানের ছেলে মুকসেনুল আরেফিন রুবেল (৪৯)।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ব্যবসার সূত্র ধরে ২১ এপ্রিল রাতে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম বুড়িমারী স্থলবন্দর থেকে দুই ট্রাক পাথর নিয়ে রংপুরে আসেন ব্যবসায়ী আরিফ হোসেন। তার কাছ থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা পরিশোধ করে পাথরের চালান বুঝে নেন মোস্তাফিজুর রহমান চঞ্চল।

পরে ব্যবসার স্বার্থে আরিফকে নগরীর কেল্লাবন্দ সরদারপাড়া এলাকার একটি বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে তুলে দেন মোস্তাফিজার রহমান চঞ্চল। ঘটনার দিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে চঞ্চল একজন অপরিচিত নারীকে নিয়ে ভাড়া বাসায় প্রবেশ করেন।

এর কিছুক্ষণ পরে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ওই চক্রের আরও অজ্ঞাত পরিচয় ৩ থেকে ৪ জন সদস্য সেখানে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে পাথর ব্যবসায়ী আরিফ হোসেনকে জিম্মি করে ওই নারীর সঙ্গে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করে।

ওই দিন রাতে আরিফ হোসেনের নিকট থেকে ফাঁকা স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক স্বাক্ষর গ্রহণ করে চক্রটি। পরবর্তীতে ঘটনার সমাধান করার স্বার্থে আরও ৬ ট্রাক পাথর নয়তো ৭ লাখ টাকা দাবি করেন চঞ্চল ও তার লোকজন।

এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় চাঁদা দাবি, প্রতারণা ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন পাথর ব্যবসায়ী আরিফ হোসেন। পরে পিবিআই মামলাটি গ্রহণ করে অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করে।

এসপি জাকির হোসেন জানান, আসামিরা পাথর বিক্রির দুই লাখ টাকা কেড়ে নেন। একই সঙ্গে দাবি করা ৬ ট্রাক পাথর অথবা ৭ লাখ টাকা না দিলে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। তদন্তে গ্রেফতার হওয়া আসামিরা অপরাধ স্বীকার করেছেন।

চক্রটি রংপুরের বিভিন্ন এলাকায় ব্যবসায়ীদের বিভিন্নভাবে ফাঁদে ফেলে মোটা অংকের টাকা আদায় করত। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান পুলিশ সুপার এবিএম এম জাকির হোসেন।


Exit mobile version