ব্যবহার হচ্ছে না রাবির ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে কেনা ডাস্টবিন


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে ছোট-বড় মোট ৫৩টি ডাস্টবিন নির্মাণ করা হলেও ব্যবহার না থাকায় ক্যাম্পাসের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। যত্রতত্র ময়লা ফেলার কারণে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরের রাস্তাগুলোতে দুর্গন্ধ ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানা গেছে।

প্রকৌশল দফতর সূত্রে জানা যায়, ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে নির্মিত বড় ডাস্টবিনের সংখ্যা ২৮টি এবং ছোট ২৫টি। আর এর জন্য বাজেট করা হয়েছিলো ২০ লাখ টাকা। বড় ডাস্টবিনের প্রত্যেকটির জন্য আলাদা আলাদাভাবে ৭০ হাজার টাকা ব্যয় করা হয়। ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় মোট ৫৩ টি ডাস্টবিন রয়েছে। তবে এগুলোর ব্যবহারে অনীহার ফলে ক্যাম্পাসের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ে যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয়। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন খাবার হোটেল, চা, চটপটি-ফুচকার দোকানের উচ্ছিষ্ট ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা থাকার পরও ক্যাম্পাসের রাস্তার যেখানে সেখানে ময়লা ফেলা হচ্ছে। এতে ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য্য যেমন নষ্ট হচ্ছে, তেমনি দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস্ কমপ্লেক্স ভবনের সামনে, শহীদুল্লাহ কলা ভবনের পেছনে, সৈয়দ ইসমাঈল হোসেন সিরাজী ভবনের পশ্চিম পাশে, প্রথম বিজ্ঞান ভবনের পূর্ব পাশেসহ বেশ কয়েক জায়গায় ডাস্টবিন রয়েছে। তবে দীর্ঘদিন আবর্জনা না ফেলায় বেশিরভাগ ডাস্টবিনেই ঘাস জন্মেছে। আবার দেখা যাচ্ছে যেখানে ডাস্টবিন সেখান থেকে হাত পঞ্চাশ-ষাট দূরেই ময়লা-আবর্জনার স্তুপ।

এদিকে টুকিটাকি চত্বরে খাবারের দোকানগুলোর ব্যবহৃত পানি নিষ্কাশনেরও ব্যবস্থা নেই। এতে যেখানে সেখানে পানি আটকে থাকায় জন্ম নিচ্ছে মশা, আর সৃষ্টি হচ্ছে নানা প্রকার রোগ জীবাণু। যার ফলে শিক্ষার্থীদের অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়ছে।

ক্যাম্পাসের একটি দোকানের কর্মচারীকে ডিনস্ ভবনের সামনে একটি গাছের নিচে ময়লা ফেলতে দেখা যায়। জিজ্ঞেস করলে কর্মচারী বলেন, ডাস্টবিন এখান থেকে দূরে। তাই এখানেই ফেলছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, ‘টুকিটাকি চত্বর, চিহ্ন চত্বর, লিপু চত্বরসহ বেশ কিছু চত্বর সবসময়ই শিক্ষার্থীদের দ্বারা কোলাহলপূর্ণ থাকে। কিন্তু এই চত্বরগুলোর আশেপাশে ডাস্টবিন থাকলেও যত্রতত্র ময়লা ফেলা হয়। এতে আমাদের ক্যাম্পাসের পরিবেশ ও সৌন্দর্য্য নষ্ট হচ্ছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুয়ার্ড শাখার সেকশন অফিসার নব কুমার জানান, ‘ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় ডাস্টবিন থাকার পরও কেউই সেটা ব্যবহারে গুরুত্ব দেয় না। দোকানিদের বারবার বলা সত্ত্বেও তারা শুনছে না।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত প্রকৌশলী ইমরান জানান, প্রথম ১৮টি ডাস্টবিন তৈরির কাজ সম্পূর্ণভাবে শেষ। আর এটি এম.আর ইন্টারপ্রাইজ নামের প্রতিষ্ঠান এগুলো নির্মাণ করেছে। রেদওয়ান ইন্টারপ্রাইজের অধীনে পরের ১০টি ডাস্টবিনের কাজ করা হচ্ছে। আগামী ১ মাসের মধ্যে এই কাজ শেষ হবে। সুত্র: আমার রাজশাহী


শর্টলিংকঃ