ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় বিএনপি নেতার পদত্যাগ, ফান্ড চুরির শাস্তি বলছেন অন্যরা!


দলীয় অবমূল্যায়ন, অবহেলা ও হাইকমান্ডের স্বেচ্ছাচারিতার শিকার হয়ে বিএনপির রাজনীতি থেকে প্রায়শই পদত্যাগের ঘোষণা দিচ্ছেন দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা। হাইকমান্ডের দীর্ঘদিনের অবহেলার শিকার হয়ে দলটির কর্মীরা অসন্তোষ ও ক্ষোভ থেকেই পদত্যাগ করছেন বলে জানা গেছে।

এবার সেই পদত্যাগের তালিকায় নাম উঠালেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও বিএনপি নেতা মোহাম্মদ মাইনউদ্দিন। জানা গেছে, দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় এবং কেন্দ্রের ক্রমাগত অবহেলার শিকার হওয়ায় তিনি সদলবলে পদত্যাগ করেছেন বলেও জানা গেছে।

তথ্যসূত্রের বরাতে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে নবীনগর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পদত্যাগের ঘোষণা দেন মাইনউদ্দিন। তিনি নবীনগর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মাইনউদ্দিন বলেন, আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে এবং আমি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। আমি দলীয় মনোনয়নের দাবিদার ছিলাম। কোনো কারণ ছাড়াই ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দলের মনোনয়ন থেকে আমাকে বঞ্চিত করা হয়েছে। আমার পক্ষে জনমত থাকার পরও মেয়র থাকাকালীন আমাকে দলের মনোনয়ন না দেয়ায় দলীয় কর্মকাণ্ড থেকে ও দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করছি।

মাইনউদ্দিনের পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সফিকুল ইসলাম বলেন, নিয়মতান্ত্রিকভাবে কেন্দ্রীয় বিএনপি প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে। কারও পক্ষে রায় না গেলে বরাবরই বলে থাকেন যে নিয়মতান্ত্রিকভাবে হয়নি। আসলে মাইনউদ্দিনের বিরুদ্ধে সরকারি ফান্ড তছরুপ, উন্নয়ন বরাদ্দে স্বজনপ্রীতি, কমিশন বাণিজ্যসহ একাধিক অনিয়মের অভিযোগ থাকায় তাকে মনোনয়ন দেয়নি হাইকমান্ড। তার নানা অনিয়মের কারণে পৌরবাসী ক্ষুব্ধ ও অসন্তুষ্ট।

তিনি আরো বলেন, হাইকমান্ডের কাছে তথ্য আছে, মাইনউদ্দিনকে মনোনয়ন দিলে এই নির্বাচনে বিএনপির নিশ্চিত পরাজয় ঘটবে। তাই পরাজয় এড়াতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। এটি নিয়ে অপরাজনীতির সুযোগ নেই।


শর্টলিংকঃ