বড় ভাইকে হত্যার পর রক্তমাখা ছুরি হাতে থানায় ছোট ভাই


ইউএনভি ডেস্ক:

নাটোরের সদর উপজেলায় বড় ভাইকে গলা কেটে হত্যার পর রক্তমাখা ছুরি নিয়ে থানায় হাজির হয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন ছোট ভাই। নিহত বড় ভাইয়ের নাম ওমর ফারুক।

বড় ভাইকে হত্যার পর রক্তমাখা ছুরি হাতে থানায় ছোট ভাই

মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার জংলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।নিহত বড় ভাই ওমর ফারুক এবং তার ছোট ভাই শাজাহান দুজনেই বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। তারা নাটোর সদর উপজেলার জংলী গ্রামের মৃত সিদ্দিকের ছেলে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলায় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী দুই ভাই একসঙ্গেই থাকতেন। অসুস্থতার কারণে ওমরের স্ত্রী অনেক আগেই তাকে ছেড়ে চলে যান। সম্প্রতি শাজাহানের স্ত্রী শাজাহানকে তালাক দেন।

শাজাহানের একটি তিন বছরের সন্তান রয়েছে। এ অবস্থায় ওমর ফারুক নিজেই রান্না করে ছোট ভাই শাজাহানকে খাওয়াতেন এবং দুই ভাই একত্রে বসবাস করতেন।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে নাটোর সদর থানা পুলিশের ওসি কাজী জালাল উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার দুপুরে তুচ্ছ ঘটনায় দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝগড়া হয়। এর একপর্যায়ে শাজাহান ছুরি দিয়ে ওমর ফারুককে গলা কেটে হত্যা করেন।

পরে তিনি রক্তমাখা ছুরি নিয়ে থানায় হাজির হয়ে বড় ভাই ওমর ফারুককে হত্যার কথা স্বীকার করেন। এর পর ফারুককে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি শুধু ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকেন। তাই কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তা জানা যায়নি।নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতিবন্ধী ফারুকের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।

আরো পড়তে পারেন:গোদাগাড়ীতে খুব ভোরেই দুজনের প্রাণ গেল সড়কে


শর্টলিংকঃ