ভাঙ্গুড়ায় চড়া সূদে দাদন নিয়ে এনজিও’র কিস্তি দিচ্ছে দরিদ্ররা


ভাঙ্গুড়া(পাবনা)প্রতিনিধি:

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় লকডাউনের মধ্যেও এনজিও কর্মীরা ঋণের কিস্তি আদায় বন্ধ করেনি। ফলে গৃহবন্দি দরিদ্র মানুষ চড়া সূদে দাদন নিয়ে কিস্তির টাকা পরিশোধ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে ।

উপজেলার কর্মহীন মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, মহামারী করোনায় লকডাউনে ঘরে বসে থাকায দু’সপ্তাহ কোনো আয় নেই। অথচ সাপ্তাহিক ও মাসিক কিস্তির টাকার জন্য বাড়ি এসে প্রতিদিন চাপ দিচ্ছেন ব্যুরো বাংলাদেশ,ওসাকা,টিএমএসএস,টিএসপি,আশা,আরবানসহ প্রভৃতি এনজিও’র কর্মীরা। এতে তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

ভাঙ্গুড়া পৌরসভার সারুটিয়া গ্রামের সাজেদা খাতুন ও কালু মিয়া এবং অষ্টমণিষা ইউনিয়নের হরিহরপুর গ্রামের গোলেজান জানান,ঘরে বসে থাকায় সংসারের আয়ের পথ বন্ধ কিন্তু ব্যুরোর কিস্তি দিতেই হবে। তাই অর্থলগ্নিকারীদের নিকট থেকে অধিক সূদে টাকা দাদন নিয়ে কিস্তি দিচ্ছি।

উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের খানমরিচ গ্রামের রহিমা খাতুন বলেন,টিএসপি-ওসাকা’র কিস্তি পরিশোধের জন্য মাসিক দুই হাজার টাকা সূদ প্রদানের শর্তে জনৈক ব্যক্তির নিকট থেকে বিশ হাজার টাকা দাদন নিয়েছি। এতে করে দরিদ্র মানুষের ঋণের বোঝা আরো বেড়েছে।

এ ব্যাপারে প্রশিকার ভাঙ্গুড়া জোনাল অফিসের ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলাম ও আশা’র ভাঙ্গুড়া শাখার ম্যানেজার নিতাই চন্দ্র শীল বলেন, সপ্তাহিক কিস্তি আদায় বন্ধ রাখা হয়েছে তবে স্বউদ্যোগে যারা মাসিকটা দিচ্ছেন তাদের টাকা কালেকশন চলছে। একই সঙ্গে স্ঞ্চয়ী আমানত ফেরত প্রদান ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ২৭ লক্ষ টাকা নতুন ঋণ দেওয়া হচ্ছে বলে প্রশিকার ব্যবস্থাক আমিনুল জানান।


শর্টলিংকঃ