ভাঙ্গুড়ায় মসজিদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ


ভাঙ্গুড়া(পাবনা)প্রতিনিধি:

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের হাট উধুনিয়া গ্রামে মসজিদ কমিটির সভাপতি, ক্যাশিয়ার ও এক সদস্য’র বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর পক্ষে ১২১জন বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ আশরাফুজ্জামানের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

এ ঘটনায় মুসল্লিদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। অভিযুক্তরা হলেন- মসজিদ কমিটির সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম, ক্যাশিয়ার আব্দুল ছাত্তার এবং সদস্য মোতালেব হোসেন।

স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বিগত চল্লিশ বছর পূর্বে ওই গ্রামে ২৮ শতক জায়গার উপর একটি মসজিদ নির্মাণ করেন এলাকাবাসি। নির্মাণের পর থেকে মসজিদের কোনো উন্নয়ন মূলক কাজ করা হয়নি। এ কারণে মসজিদের ছাদের ঢালাই ড্যামেজ হয়ে পড়েছে। ফলে নামাজ আদায় করার সময় ছাদ থেকে বালি শুরকি খসে পড়ে মুসল্লিদের মাথার উপর।

এতে অনেক মুসল্লিরা আহত হয়েছেন। মসজিদের জানালাগুলো ভেঙ্গে যাওয়ায় ধুলাবালি ও বৃষ্টির পানি ভিতরে ঢুকে পড়ে। অনেকদিন যাবৎ মসজিদের লাইট,ফ্যান এবং মাইকগুলো নষ্ট হয়ে পড়েছে। ফলে মুসল্লিদের নানা সমস্যায় পড়তে হয়। মসজিদের নামে ১৬ বিঘা আয়তনের একটি জলাশয় রয়েছে। প্রতিবছর এ থেকে আয় হয় প্রায় ৭/৮ লক্ষ টাকা। অথচ মসজিদের জন্য কোনো অর্থব্যয় না করে কমিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম, ক্যাশিয়ার আব্দুল ছাত্তার ও সদস্য মোতালেব হোসেন টাকাগুলো আত্মসাৎ করেন। প্রতিবছরে এই মসজিদের আদায় হওয়া লক্ষ লক্ষ টাকা কোথায় যাচ্ছে, যার কোনো হিসাব নেই।

এলাকাবাসিরা জানান, প্রতিবছর গ্রামবাসীদের কাছে এবং জলকার থেকে আসা বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা হয় মসজিদ কমিটির কাছে। কিন্তু তারা কোন দিন এসব টাকার হিসাব দেয়নি। তাদের কাছ থেকে হিসাব চাইলে তারা বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি দেখাইতো। এমনকি যে জানতে চাইবে তাকে মেরে ফেলবে বলে জানায় তারা।

সেই সঙ্গে মসজিদেরও কোনো উন্নয়ন কাজ করেননি তারা। আমরা কোন উপায় না পেয়ে ইউএনও সাহেবের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম তিনি এ সংবাদকর্মীর কাছে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

তবে ক্যাশিয়ার আব্দুল ছাত্তার ও সদস্য মোতালেব হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভাব হয়নি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ আশরাফুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে ১২১ জনের স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে মসজিদের টাকা আত্মসাৎ করার কোনো সুযোগ নেই।


শর্টলিংকঃ