ভারতের তীব্র সমালোচনায় ডা. জাফরুল্লাহ


ইউএনভি ডেস্ক:

হঠাৎ পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়ায় ভারতের তীব্র সমালোচনা করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, ভারত নজর দিয়েছে কী করে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে পর্যুদস্ত করা যায়। তারা ষড়যন্ত্র করছে। সেজন্য তারা সব আন্তর্জাতিক নিয়মাবলী অস্বীকার করে হঠাৎ পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে।


ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, এভাবে চলতে পারে না। ভারতকে একটা ফাইনাল ওয়ার্নিং দেয়া দরকার। আমাদের এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। চলুন আমরা সবাই একত্রিত হয়ে ভারতের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা’ ও ‘মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের’ উদ্যোগে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও সরকারের নতজানু পররাষ্ট্র নীতির প্রতিবাদে এ মানববন্ধন হয়।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ভারত বাংলাদেশের জনগণকে বিচ্ছিন্ন করতে চায়। তারা সুকৌশলে আমার দেশের দুই নেত্রীকে বন্দি করে রেখেছে। খালেদা জিয়াকে গুলশানে এবং শেখ হাসিনাকে আমলা দ্বারা আবদ্ধ করে রেখেছে। এভাবে চলতে পারে না।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, এই সরকার বলে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের রক্তের সস্পর্ক। অথচ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে প্রায়শই মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। পৃথিবীর অন্য কোনো দেশের সীমান্তে এভাবে মানুষ হত্যা হয় না। সরকারের নতজানু পররাষ্ট্র নীতিই এজন্য দায়ী।

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, দেশে সমস্ত জিনিসের দাম বেড়েছে। দেশে কোনো বিনিয়োগ নেই, দেশে কোনো শিক্ষা ব্যবস্থা নেই। কোনো স্কুল-কলেজ খুলে না, বিনা পরীক্ষায় পাস। দেশের অর্থনীতির অবস্থা কী? সরকারের কাছে টাকা নেই। সরকারের প্রধানমন্ত্রী বলছেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে কিছু টাকা দাও। সবাই বলছে রিজার্ভ থেকে কি টাকা দেয়া যায়, কেউ দেয় না কখনও। এখন কোনো কথা বলছেন না। কী করবে? তাদের কাছে টাকাই তো নেই।

তিনি বলেন, ফরিদপুরে ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক মাত্র দুই বছরে দুই হাজার কোটি টাকা কামাই করেছে। ওরা চোর, ডাকাত, লুটেরা- দেশের টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাঠাচ্ছে। এ সরকারকে জনগণ আর চায় না।


শর্টলিংকঃ