- ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ - https://universal24news.com -

ভারতের নদীতে রাজশাহীর শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীর মরদেহ!


নিজস্ব প্রতিবেদক :

আন্তর্জাতিক চোরাচালান সিন্ডিকেটের সদস্য ও রাজশাহীর শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী কালাম মোল্লার মরদেহ পাওয়া গেছে ভারতের গঙ্গা নদীতে।  মঙ্গলবার সকালে জলঙ্গী থানা এলাকার টুলটুলিপাড়া গঙ্গা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিএসএফের তাড়া খেয়ে সে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিল।

গোল চিহ্নিত কালাম মোল্লা

রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদুল হাসান অবশ্য বলছেন, মরদেহটি কালাম মোল্লার কি না তা নিশ্চিত হওয়ায়  যায় নি। তবে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। ডিএনএ টেস্টের জন্য নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে।  কালাম মোল্লার কোনো নিকটাত্মীয়ের সঙ্গে ডিএনএ মিলিয়ে দেখা হবে। এরপরই নিশ্চিত হওয়া যাবে।

স্থানীয়রা জানান, বাঘা সীমান্ত এলাকার হেলালপুর গ্রামের আকছেদ মোল্লার ছেলে কালাম মোল্লা। তারা ছয় ভাই। এর মধ্যে কালাম মোল্লা সবচেয়ে বেশি সম্পদের মালিক হয়েছেন চোরাচালানের সঙ্গে জড়িয়ে। তার নামে বাঘা, চারঘাট, ঈশ্বরদী, লালপুর, সিরাজগঞ্জ ও ঢাকার টঙ্গি থানায় আছে ২০টির বেশি মামলা। পুলিশের তালিকায় রাজশাহীর শীর্ষ মাদক চোরাচালানি ছিলেন কালাম মোল্লা।

কালাম মোল্লা

বাঘা থানা পুলিশের একটি সূত্র জানান, গত বছরের মে মাসে চট্টগ্রাম থেকে রাজশাহী ফেরার পথে এক লাখ ৮ হাজার ইয়াবাসহ রাজশাহীর মাদক ব্যবসায়ী আসলাম ও চারঘাটের মাসুদকে গ্রেফতারের পর ওই মাদকের মালিক হিসাবে চিহ্নিত কালাম মোল্লাকে খুঁজতে থাকে পুলিশ। এরপর থেকেই সে ভারতে আত্মগোপনে চলে যায়। দেশজুড়ে মাদক বিরোধী অভিযান শুরু হলে তার দেখা মেলেনি। তবে ভারতে অবস্থান করে এদেশে যোগাযোগ রেখে মাদকের চোরাচালান চালিয়ে আসছিলেন।

গত শনিবার দুপুরে ভারতের জলঙ্গী এলাকার ঘর তলা বিএসএফ ক্যাম্পের পাশ দিয়ে কপুরা নদীপথে ওই দেশের এক স্থান থেকে আরেক স্থানে রওনা হন কালাম মোল্লা ও তার বন্ধু ভারতীয় নাগরিক চাঁন মিয়া। এ সময় ওই দেশের বিএসএফ তাদের আটক করার চেষ্টা করলে কালাম মোল্লা ও চাঁন মিয়া নদীতে ঝাঁপ দেন। চাঁন সাঁতরে উপরে উঠে এলেও কালাম মোল্লাকে গত দুইদিন থেকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

কালাম মোল্লার ভাই রুস্তম মোল্লা জানান, সোমবার রাতে ভারতের আত্মীয় মারফত খবর পেয়ে মঙ্গলবার ভোরে লাশ আনতে পাঠানো হয়। এরপর সকালে সেখান থেকে নিজ বাড়িতে তার ভাই কালাম মোল্লার লাশ নিয়ে বাড়ি ফেরেন তার চাচা নজরুল ইসলাম, নিকটাত্মীয় মুকুল হোসেন, আরশাদ আলী ও দুলাল হোসেন।