ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে বাংলাদেশের কন্টিনজেন্ট


ইউএনভি ডেস্ক:

ভারতের ৭২তম প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে বাংলাদেশের কন্টিনজেন্ট অংশ নিয়েছে।আজ মঙ্গলবার ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কভিন্দ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে লেফটেনেন্ট কর্নেল আবু মোহাম্মেদ শাহনুর শাওনের নেতৃত্বে ১২২ সদস্যের কন্টিনজেন্ট কুচকাওয়াজে অংশ নেন।

জানা যায়, মুজিববর্ষ, স্বাধীনতা ও বাংলাদেশ-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণ জয়ন্তীকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের একটি সমন্বিত প্যারেড কন্টিনজেন্ট কুচকাওয়াজে অংশ নেয়।

১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট দেশ স্বাধীন হলেও ভারতের নিজস্ব কোনো সংবিধান ছিল না। সেই সংবিধান রচিত হয় এবং ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর তা গৃহীত হয়। সেসময় সংবিধান রচয়িতারা ঠিক করেন, ভারতের প্রজাতন্ত্র হয়ে ওঠা কোনো বিশেষ একটি দিনে উদযাপন করা উচিত। সে কারণেই বেছে নেওয়া হয় ২৬ জানুয়ারি দিনটি। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হয়।

এবছর করোনা আবহে কম করা হয়েছিল কুচকাওয়াজের সময়। মাত্র ৩০ মিনিট মূল কুচকাওয়াজের সময় নির্দিষ্ট করা হয়। একসঙ্গে কমানো হয় অতিথির সংখ্যাও। শিশু এবং বয়স্কদের এবছর প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়নি। কোনো বিদেশি অতিথিকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

এই কুচকাওয়াজে ভারতীয় সেনারা বিভিন্ন বাহিনীর কুচকাওয়াজের সঙ্গে এদিন বিভিন্ন রাজ্যের সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য তুলে ধরে দিল্লির রাজপথে ট্যাবলো প্রদর্শন করে। কলকাতার রেড রোডে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ভারতের রাষ্ট্রীয় পতাকা উত্তোলন করেন। কুচকাওয়াজে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


শর্টলিংকঃ