- ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ - https://universal24news.com -

ভারত বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু: রীভা গাঙ্গুলী


নিজস্ব প্রতিবেদক:

ভারত সরকারের অনুদানে নাটোরের লালবাজারে জয়কালী মন্দিরের উদ্বোধন করলেন ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাই কমিশনার বলেন, ভারত বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু।

সোমবার (২৭ জুলাই) ভার্চুয়াল সভার মাধ্যমে নাটোরে শ্রী শ্রী জয়কালী মাতার পুনর্নির্মিত মন্দির উদ্বোধন করেন তারা। এছাড়াও ভার্চুয়াল সভায় যুক্ত ছিলেন, সংসদ সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম এবং নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী জলি।

এর আগে, ২০১৬ সালের ২৩ অক্টোবর নাটোরের লালবাজারে শ্রী শ্রী জয়কালী মাতার মন্দিরটি পুনর্নির্মাণের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। ভারত সরকারের ৯৭ লাখ (বাংলাদেশী) টাকা অনুদান এবং হাই ইমপ্যাক্ট কমিউনিটি ডেভলপমেন্ট প্রজেক্টস (এইচআইসিডিপি) স্কিমের আওতায় মোট ১.৩৩ কোটি টাকা অর্থায়নে এই নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করে শ্রী শ্রী জয়কালী মাতার মন্দির কমিটি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাই কমিশনার বলেন,  “ভারতীয় হাই কমিশন নাটোরের শ্রী শ্রী জয়কালী মাতার মন্দিরের সংস্কার কাজে সহায়তা করতে পেরে আনন্দিত। এই মন্দিরটি বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন মন্দির। আমাদের অভিন্ন ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সংরক্ষণে ভারত বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অংশীদার যা আমাদের জনগণের মধ্যকার সম্পর্ককে আরও জোরদার করে। ”

প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী  জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, “নাটোরকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে গড়ে তুলবো। এই উন্নয়নের লক্ষ্যে পথ চলায় ভবিষ্যতেও আমাদের পাশে থাকবে বন্ধুপ্রতিমদেশ ভারত। সফটওয়্যার শিল্পে বাংলাদেশের যে অগ্রগতি তাকে কাজে লাগিয়ে অদূর ভবিষ্যতে ভারত বাংলাদেশে তাদের সহযোগিতার ক্ষেত্র আরো প্রসারিত করবে”।

উল্লেখ্য যে, শ্রী শ্রী জয়কালী মন্দিরটি প্রায় ৩০০ বছরের পুরাতন এবং বাংলাদেশের নাটোর জেলার অন্যতম প্রাচীন মন্দির। অষ্টাদশ শতাব্দির শুরুর দিকে এই মন্দির নির্মাণ করেন শ্রী দয়ারাম রায় (১৬৮০ – ১৭৬০), যিনি ছিলেন দিঘাপতিয়া রাজপরিবারের প্রতিষ্ঠাতা ও নাটোরের রানী ভবানীর (১৭১৬ – ১৭৯৫) প্রভাবশালী দেওয়ান।

এই মন্দিরে দুর্গা ও কালীপূজার মতো বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব প্রতিবছর অত্যন্ত উদ্দীপনা এবং উৎসাহের সাথে পালন করা হয়। মন্দিরের প্রাঙ্গনে শিবমন্দিরও রয়েছে। এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন, বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও পরম্পরাসমূহের প্রাচীন স্মারক ও ঐতিহ্য রক্ষায় ভারতের প্রচেষ্টার একটি চমৎকার উদাহরণ বলে জানানো হয়।

প্রসঙ্গত,ভারত সরকারের অনুদানের আওতায় হাই ইমপ্যাক্ট কমিউনিটি ডেভলপমেন্ট প্রজেক্টস (এইচআইসিডিপি), বাংলাদেশের জন্য ভারতের উন্নয়ন সহায়তার একটি সক্রিয় স্তম্ভ গঠন করে, যার দ্বারা স্থানীয় অধিবাসীরা সরাসরি উপকৃত হয় এবং তাদের উপর ইতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি হয়।

এছাড়াও, অতীতে এইচআইডসিডিপির আওতায় রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন প্রকল্পে সহায়তা বৃদ্ধি করেছে, যার মধ্যে রয়েছে– রামকৃষ্ণ মন্দির ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ, দোতলা আদিবাসী শাগশাইল স্কুল ও নিয়ামতপুর ছাত্রীনিবাস নির্মাণ, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনে ক্ষুদ্র উন্নয়ন প্রকল্প, শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালীমাতা মন্দির সংস্কার কাজ, মাহিগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের নিচতলা, দ্বিতীয়তলা এবং অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ।