Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

ভারী বর্ষণের সঙ্গে ঝড়ো হাওয়ায় কাবু রাজশাহী


নিজস্ব প্রতিবেদক:

সুপার সাইক্লোন ‘ফণী’র প্রভাবে রাজশাহীতে শুক্রবার (০৩ মে) দিবাগত মধ্যরাত থেকে শুরু হয়েছে ভারী বর্ষণ। শনিবার (০৪ মে) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ৪৯.৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সঙ্গে ঘণ্টায় প্রায় ২৩ থেকে ২৫ কিলোমিটার গতিবেগের দমকা হওয়ায় কাবু হয়ে পড়েছে উত্তর জনপদ।

ফণী’র প্রভাবে রাজশাহীজুড়ে দমকা হাওয়া বইছে

রাজশাহী আবহাওয়া অধিদফতরের উচ্চ পর্যবেক্ষক রাজিব খান শনিবার সকাল পৌণে ৮টার দিকে ইউনিভার্সাল২৪নিউজ.কম-কে জানান, রাজশাহীতে আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৩.৫ নটিক্যাল মাইল বা প্রায় ২৫ কিলোমিটার। ওই সময় পর্যন্ত রাজশাহী অঞ্চলে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় ৪৯.৫ মিলিমিটার। সাধারণত ৪৪ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হলে তাকে ভারী বর্ষণ বলা হয়।

তিনি বলেন, ‘গতকাল (শুক্রবার) রাত থেকে ক্রমে বৃষ্টিপাত বাড়ছে। একই সঙ্গে বাতাসের গতিবেগও ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুক্রবার রাত ৩টার দিকে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় সাড়ে ২১ কিলোমিটার। ওই সময়ে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১২.৪ মিলিমিটার।’

ফণীর প্রভাবে শনিবার সকালে ভারী বৃষ্টি

এদিকে, বাতাসের গতিবেগ বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং ভারী বর্ষণের ফলে ‘ফণী’র কেন্দ্র হতে পারে রাজশাহী, এমন সম্ভাবনা ক্রমেই প্রবল হচ্ছে। এতে উত্তরাঞ্চলের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি আতঙ্কে রয়েছেন রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের পদ্মাপাড়ের মানুষ।

জানা গেছে, রাজশাহীর পদ্মার চরখিদির পুর, চর খানপুর, চর আতারপুর, চর লক্ষীপুর, চর নারায়ণপুরসহ বিভিন্ন চরের মানুষ চরম বিপদজ্জনক অবস্থায় রয়েছেন। সেখানে অধিকাংশ ঘরবাড়ি কাঁচা ও আধাপাঁকা। ওই চরগুলোতে অসংখ্যা মানুষ বসবাস করেন। চরে যেসব কথিত আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে, সেগুলোর অবস্থাও বেগতিক।

রাজশাহীর পদ্মার আকাশে মেঘের ঘনঘটা

তবে জেলা প্রশাসন বলছে, চরের মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে সেখানে স্বেচ্ছাসেবীরা কাজ করছেন। তাদেরকে দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

রাজশাহী জেলা প্রশাসকের দফতরে খোলা জরুরি নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সমন্বয়ক ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, পদ্মার চরের বাসিন্দাদের দ্রুত আশ্রয়কেন্দ্রে সরে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যারা এখনও সেখানে অবস্থান করছে, তাদেরকেও স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করছে প্রশাসন।


Exit mobile version