ভার্চুয়াল কোর্টে বঙ্গবন্ধুকে কটূক্তিকারীর জামিন নামঞ্জুর


নিজস্ব প্রতিবেদক :

ফেসবুকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী, সুপ্রীমকোর্টের বিচারপতিদের নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে গ্রেফতার রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আসামী মো: বাবুল ইসলামের জামিন নামঞ্জুর করেছেন জেলা ও দায়রা জজ মীর শফিকুল আলমের আদালত।মঙ্গলবার ভার্চুয়াল কোর্টে তার জামিন আবেদন করা হলে তা নামঞ্জুর করেন আদালত।

এছাড়াও ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে করোনাভাইরাস বিরোধী প্রচারণার আড়ালে দেশের অভ্যন্তরে আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে বিশৃংখলা সৃষ্টির অভিযোগে ১১ জন আসামীর জামিন নামঞ্জুর করেছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এদিকে , ভার্চুয়াল কোর্ট পদ্ধতিতে রাজশাহীর আদালতসমূহে মোট ৩৬১ জন আসামিকে জামিন প্রদান করা হয়েছে।

ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে রাজশাহীর জেলা ও দায়রা জজ আদালত ৯০ জন, মহানগর দায়রা জজ আদালত ৩৬ জন, চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ১৪৭ জন এবং চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ৮৮ জন আসামীকে জামিন প্রদান করেছেন। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে রাজশাহীতে কার্যক্রম শুরুর পর ১৭ মে রাজশাহীর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতিতে তিন মামলায় পাঁচজনের জামিন মঞ্জুর হয়। পরদিন ১৮ মে রাজশাহীর বিভিন্ন আদালতসমূহে ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে শুনানির মাধ্যমে ১৫৩ জনের জামিন হয়।

রাজশাহীতে ভার্চুয়াল কোর্টের মাধ্যমে শুনানি প্রসঙ্গে রাজশাহী জেলা জজ আদালতের বিচারক ও ভার্চুয়াল কোর্ট বিষয়ক মুখপাত্র এম. এ. সাঈদ শুভ বলেন, ‘ভার্চুয়াল কোর্ট পদ্ধতির প্রবর্তন বাংলাদেশ সরকার ও সুপ্রীম কোর্টের এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। করোনাভাইরাসের এই মহামারিতে ভার্চুয়াল কোর্ট বিচারপ্রার্থী জনগণের জন্য আশির্বাদস্বরুপ।

আরও পড়তে পারেন   আম্ফান : ‘মহাবিপদ’ সংকেত আসছে

রাজশাহী বারের আইনজীবীদের মধ্যে ভার্চুয়াল কোর্ট এর শুনানিতে অংশগ্রহণের বিষয়ে প্রথমে ভীতি কাজ করলেও গত তিন দিনে তাঁরা অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। আজ তৃতীয় দিনে বিপুল সংখ্যক আইনজীবী ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে ভার্চুয়াল কোর্টে জামিন শুনানি করেছেন।’ প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতিতে হাজতি আসামিদের জামিন শুনানির জন্য আদালতে ভার্চুয়াল কোর্ট চালু করা হয়।

তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে জরুরি জামিন সংক্রান্ত বিষয়সমূহ নিষ্পত্তি করার নির্দেশনা আসে সুপ্রিম কোর্ট থেকে। এ লক্ষে সংশ্লিষ্ট আদালতের আইডি ও মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে বলা হয়। নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে, উল্লিখিত ই-মেইল আইডিতে জরুরি জামিন আবেদন, সংশ্লিষ্ট দালিলিক কাগজাদি এবং ওকালতনামা (সংশ্লিষ্ট আইনজীবীর সদস্য নম্বর, ই-মেইল ও মোবাইল নম্বর) স্ক্যান করে সফটকপি ভার্চুয়াল আদালতে দাখিল করতে হবে।

আদালতের তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ ২০২০ এর ক্ষমতাবলে সুপ্রিমকোর্ট জারি করা ‘বিশেষ প্র্যাকটিস নির্দেশনা’ অনুসারে এই কোর্ট গঠন করার নির্দেশনা আসে। এদিকে ভার্চুয়াল কোর্টের প্রয়োজনীয়তার কথা আলোচিত হওয়ার মাঝেই গত ৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ ২০২০’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। ২ দিন পর ৯ মে ভার্চুয়াল কোর্ট সম্পর্কিত অধ্যাদেশ জারি করা হয়।


শর্টলিংকঃ