ভিজিট ভিসায় আমিরাত পাড়ি


ইউএনভি ডেস্ক:

সংযুক্ত আরব আমিরাতে স্বপ্ন পূরণে ভিজিট ভিসায় পাড়ি দিচ্ছে হাজার হাজার যুবক। গত দুই মাসের ব্যবধানে শুধু চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে পাড়ি দিয়েছে সাড়ে ১০ হাজারের অধিক স্বপ্নবাজ যুবক। তবে তাদের স্বপ্ন পূরণে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিমানবন্দরের কন্ট্রাক্ট বাণিজ্য।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পুলিশ সুপার জাকির হোসেন বলেন, ‘ভিজিট ভিসা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভ্রমণ বেড়েছে অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। সর্বশেষ দুই মাসে ১০ হাজার ৬০০-এর বেশি মানুষ পাড়ি দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে। চট্টগ্রাম ইমিগ্রেশনও চেষ্টা করছে যাত্রীদের দ্রুততার সঙ্গে সব সেবা দিতে।’ আমিরাতের বাংলাদেশি কমিউনিটি নেতারা জানান, ভিজিট ভিসা নিয়ে আমিরাতে আসা ব্যক্তিদের ৯০ শতাংশই ভিসার স্ট্যাটাস পরিবর্তন করছে।

ভিজিট ভিসায় ইতিমধ্যে আসা ব্যক্তিরা বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরি নিয়েছে। আবার কেউ কেউ ব্যবসায়ী ভিসা লাগিয়েছে। বিমানবন্দরের সার্বিক পরিস্থিতি কিছুটা শিথিল করা উচিত। শ্রমিকরা আমিরাতে বেশি পরিমাণে আসতে পারলে আমিরাতের শ্রমবাজারে বাংলাদেশিদের অবস্থান আরও সুসংহত হবে। এতে দেশের রেমিট্যান্স বাড়বে। জানা যায়, বেশ কয়েক বছর বন্ধ থাকার পর সংযুক্ত আরব আমিরাতে কিছু ভিসার স্ট্যাটাস পরিবর্তনের সুযোগ দেওয়া হয়। এতে বাংলাদেশিদের জন্য আমিরাতের শ্রমবাজার এক প্রকার উন্মুক্ত হয়।

আমিরাত সরকারের এ সিদ্ধান্তের পর ভিজিট ভিসায় আমিরাতে গিয়ে ভিসার স্ট্যাটাস পরিবর্তন করে কোম্পানি ভিসা ও ব্যবসায়িক ভিসা লাগানো শুরু হয়েছে। এর মধ্যে গত দুই মাসে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে ১০ হাজারের অধিক মানুষ পাড়ি দেয় আমিরাতে। যার মধ্যে জানুয়ারিতে ৫ হাজার ৩০০ আর ডিসেম্বরে ৫ হাজার ৫৫০ জন। তবে আমিরাতে স্বপ্ন পূরণে যাওয়া ব্যক্তিদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ‘কন্ট্রাক্ট বাণিজ্য’।

বিমানবন্দর-কেন্দ্রিক সিন্ডিকেটের সঙ্গে চুক্তি ছাড়া ভিজিট ভিসাধারীরা পাড়ি দিতে পারেন না আমিরাত। অভিযোগ রয়েছে, ইমিগ্রেশনের কতিপয় কর্মকর্তা এবং কিছু অসাধু ট্রাভেল এজেন্সির লোক জোট বেঁধে তৈরি করেছে কন্ট্রাক্ট সিন্ডিকেট। তারা একেকজন ভিজিট ভিসাধারীর কাছ থেকে ‘ইমিগ্রেশন পাস’ বাবদ আদায় করছেন ২০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা। ইমিগ্রেশনের কর্মকর্তা ছাড়াও এ সিন্ডিকেটে যারা রয়েছেন তাদের মধ্যে চকবাজার এলাকার মো. বেলাল, সিরাজুদ্দৌলা রোডের ইউনুস ও হাসান, রিয়াজুদ্দীন বাজারের মো ইব্রাহিম, সোহেল, ওসমান অন্যতম।


শর্টলিংকঃ