Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

ভোটের তারিখ পরিবর্তনের দাবিতে অনশনে ঢাবি শিক্ষার্থীরা


ইউএনভি ডেস্ক:

সরস্বতী পূজার কারণে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের দাবিতে এবার আমরণ অনশনে বসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার দুপুর দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে প্রায় শখানেক শিক্ষার্থী এ কর্মসূচি শুরু করেন।

ভোটের তারিখ পরিবর্তনের দাবিতে কয়েকদিন ধরে বিক্ষোভ, অবস্থান কর্মসূচি পালনের পর অনশনে গেলেন শিক্ষার্থীরা।

অনশনে অংশ নেওয়া জগন্নাথ হল সংসদের ভিপি উৎপল বিশ্বাস বলেন, “একইসাথে পূজা ও নির্বাচন হতে পারে না বলে আমরা মনে করি। তাই নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের দাবিতে আমরা সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে না ফেলে এই অহিংস আন্দোলনে অংশ নিই।”

জগন্নাথ হল সংসদের জিএস কাজল দাস বলেন, “আমাদের এই আন্দোলন সরকারের বিরুদ্ধে নয়, নির্বাচন কমিশনের অসাংবিধানিক ও সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এই আন্দোলন। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা অনশন চালিয়ে যাব।”

শিক্ষার্থীদের এই অনশনে সংহতি জানিয়ে ডাকসুর সদস্য রাইসা নাসের, মুহা. মাহমুদুল হাসান, ঢাবি ছাত্রলীগের সাহিত্য সম্পাদক রাকিব সিরাজী অংশ নিয়েছেন।

এর আগে একই দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছে ছাত্রদল।

সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মধুর ক্যান্টিন থেকে ছাত্রদলের শতাধিক নেতাকর্মী একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি ক্যাম্পাস ঘুরে রাজু ভাস্কর্যে আসার পর সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়।

সমাবেশে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন বলেন, “বর্তমান সরকার কথায় কথায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির কথা বলে। কিন্তু ৩০ তারিখ নির্বাচনের সিদ্ধান্তটি সম্পূর্ণ সাম্প্রদায়িক। এদেশ অসাম্প্রদায়িক দেশ। তাই অনতিবিলম্বে এই তারিখ পরিবর্তন করে একটি নিরপেক্ষ দিনে নির্বাচন দিতে হবে। তা না হলে বাংলাদেশ ছাত্রদল সমস্ত ছাত্র সমাজকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনের মাঠে নামবে।”

ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল বলেন, “বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। এখানে বহু ধর্মের মানুষ একসাথে বসবাস করে। সম্প্রতির বাংলাদেশে কোনো সাম্প্রদায়িকতার জায়গা নাই। আমরা নির্বাচনের বিপক্ষে নই। কিন্তু আমরা নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করার আহ্বান জানাই।”

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতেও স্লোগান দেন নেতাকর্মীরা।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সদস্য সচিব আমান উল্ল্যাহ আমান প্রমুখ।


Exit mobile version