ভোলাহাটের বিলভাতিয়া জলকর নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ


নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ:

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলাধীন বিলভাতিয়া জলকর নিয়ে ইজারাদারের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে।এর প্রতিকার চেয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন শিবগঞ্জ উপজেলার দাইপুখুরিয়া ইউনিয়নের কর্ণখালী গ্রামের মৃত আলতাফ হোসেনের ছেলে মো.আবদুর রহিমসহ ওই এলাকার ৪০ জন মৎসজীবী ।

ভোলাহাটের বিলভাতিয়া জলকর

অভিযোগে বলা হয়,জেলা প্রশাসক কার্যালয় হতে ভোলাহাট উপজেলার অন্তর্গত বিলভাতিয়া জলকরটি বাংলা ১৪২৫ হতে ১৪৩০ পর্যন্ত ৬ বছর মেয়াদে ঝাউবোনা মৎসজীবী সমবায় সমিতির পক্ষে হজারা প্রাপ্ত হয়।

আগামী ৩১ চৈত ১৪২৬ বাংলা সাল পর্যন্ত ৬ বছর তারা ভোগদখল করবে মর্মে আগামী ৪ বছরের জন্য অথাৎ ১লা বৈশাখ ১৪২৭ হতে ৩১ শে চৈত্র ১৪৩০ বাংলা সাল ৩৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্য র্ধার্য্যকরে বাৎসরিক কিস্তি ৭ লাখ ১০ হাজার টাকা নগদ গ্রগন করে এবং প্রতি বছরের চৈত্র মাসের ৭ তারিখে বাৎসরিক কিস্তি অন্যের নিকট থেকে কর্জ করে ধার্য্য তারিখে ১ম বাৎসরিক কিস্তি বাবদ ৩৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হবে মর্মে চুক্তিতে হস্থান্তর করে ।

আমরা অতিশয় গরীব লোক। বহু কষ্টে অন্যের নিকট থেকে কর্জকরে ধার্য্য তারিখে ১ম বাৎসরিক কিস্তি বাবত ৩৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা সংগ্রহ করে প্রতিপক্ষ গনের নিকট যায়। কিন্তু তারা আমাতের টাকা না নিয়ে টালবাহানা কারতে থাকায় আমরা সভাপতি রহনপুর শিল্প ও বনিক সমিতি বরাবরে আরজী করলে গত ০৯/০৩/২০২০ খ্রি: তারিখে উভয় পক্ষ বনিক সমিতিতে একত্রিত হই।

কিন্তু প্রতিপক্ষগন পরিশোধ দেয়ার সময় অতিবহিত হয়ে গেছে মর্মে আমাদের জামানত বাবত ৭ লাখ ১০ হাজার টাকা ফেরত দিয়ে দিবে এবং জলকর আমাদেরকে হস্থান্তর করবেনা মর্মে ঘোষণা দেয়। সভাপতি সাহেব কোন সমাধানা দিতে না পেরে আমাদেরকে ঊর্দ্বতণ কর্তৃপক্ষের স্বরনাপূর্ন হওয়ার পরামর্শ দিলে আমরা একান্ত রিুপায় হয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোমস্তাপুর সার্কেল মহোদয়ের নিকট আরজী করি ।সেখানে মার্চ মাসের ১৮ ও ১৯ তরিখে বসে কোন সমাধান হয়নি ।

অর্থাৎ পতিপক্ষ আমাদের নিকট জলকর হস্তান্তর করবে না মর্মে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহোদয়ের সিদ্ধানতকেও অবমাননা করে। আমরা অবগত হয়েছি যে ,শিবগঞ্জ উপজেলার দেীলতবাড়ী সকিনের ( ১ ) মো:আ: মান্নান, পিতা আ: রাহমান ও ( ২) মো: মিজান, পিতা আ: সবুহান এর নিকট বেশি মূল্যে উক্ত জলকর হস্তান্তর করায় আমাদের কে হস্তান্তর না করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
যদি এমন হয়, তবে জলকরে আইন শৃংখলা ভঙ্গের আশংকা রয়েছ। এমতাবস্থায় প্রতিপক্ষগনের ইজারা স্থগিত করনের জন্য মহাদয় সমিপে আকুল আবেদন জানাচ্ছি।

এমন অবস্থায় গত ২৭/৪/২০২০ ইং তারিখ হতে ভোলাহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ০৫.৪৩৭০১৮.০০০.১৩.০০২.১৯/৪৮৬ নং স্বারকে বিষয়টি সমাধানের লক্ষে একটি নোটিশ জারি করে ৫/৫/২০২০ ইং তারিখ শুনানি করার তারিখ নির্ধরণ করেন।সেখানে উভয়পক্ষ হাজির হলেও বিলের লিজ গ্রহীতা পক্ষ মুল কাগজ পত্র নিয়ে হাজির না হওয়ায় সমাধান হয়নি।

তারপরেও গত (১৬ মে) বিলের লীজ গ্রহীতা ভোলাহাটের বজলু রহমান চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অভিযোগকারী কর্ণখালী গ্রামের মৃত আলতাফ হোসেনের ছেলে মো.আবদুর রহিমসহ মোট ১১ জনকে আসামী করে ভোলাহাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

এ মামালাটির তদনÍ কর্মকর্তা এস আই সিরাজুল ইসলাম ওইদিন গভির রাতে কর্ণখালি মির্জপুর গ্রামে গিয়ে মামলার ৩ নম্বর আসামী মোজাহার আলির ছেলে ইব্রাহিম আলিকে আটক করে কারাগারে প্রেরণ করে ।এসম তার বৃদ্ধ মা লালমন বিবি ও ভাই বাবুলকে মারধর করার অভিযোগ করা হয়।

এ বিষয়ে প্রথম প্রতিপক্ষ বজলুর রহমানের মুঠোফোনে একাধীকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।তবে ২য় প্রতিপক্ষ সাবের আলী জানান,বিল নিয়ে একটা ঝামেলা হয়েছিল,আমি আর তাদের মধ্যে নেয়।

এদিকে ভোলাহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.রাজিবুল আলম বলেন,বিলভাতিয়ার জটিলতা নিরসনে উভয় পক্ষ কে মূল কাগজপত্র নিয়ে একাধীকবার ডাকা হয়েছে। সেখানে ঝাউবোনা মৎস্যজীবি সময় সমিতি তাদের কাগজ পত্র নিয়ে হাজির হয়নি। ফলে দ্রুত জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে লিখিত প্রতিবেদন পাঠানো হবে।


শর্টলিংকঃ