Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

ভ্যাকসিন প্রদান নিয়ে সরকারের সমালোচনা না জেনেই


ইউএনভি ডেস্ক:

যারা ভ্যাকসিন প্রদান নিয়ে সরকারের সমালোচনা করছে, তারা সঠিক তথ্য না জেনেই কথা বলছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

মন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিন প্রদানের জন্য আমাদের প্রশিক্ষিত জনবল রয়েছে, ভ্যাকসিন রাখার স্টোর প্রস্তুত করা হয়েছে, নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় রাখতে কোল্ডবক্স ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করা হয়েছে। কীভাবে ভ্যাকসিন দেয়া হবে তার জন্য একটি গাইডলাইনও প্রস্তুত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, জানুয়ারি শেষে অথবা ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই দেশে ভ্যাকসিন চলে আসবে। আগামী ৬ মাসে পর্যায়ক্রমে দেশের ৩ কোটি ভ্যাকসিন চলে আসবে। এই ভ্যাকসিন মানুষের কাছে সুষ্ঠুভাবে বিতরণের জন্য সরকারের যথাযথ প্রস্তুতি নেয়া রয়েছে।

রোববার রাজধানীর মহাখালী ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরে ২টি ভ্যাক্সিন ল্যাব পরিদর্শন শেষে প্রেস ব্রিফিংকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ভারতে সিরাম ইন্সটিটিউট থেকে ভ্যাকসিন নেয়ার পাশাপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক কো-ভ্যাক্স ভ্যাকসিন পাওয়া প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী মে-জুন মাসের দিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক দেশের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশের জন্য কো-ভ্যাক্স ভ্যাকসিন পাঠানো হবে। চলমান অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের পাশাপাশি কো-ভ্যাক্স ভ্যাকসিন চলে এলে দেশের প্রায় অধিকাংশ মানুষই ভ্যাকসিন পাবে।

১৮ বছরের নিচে, অন্তঃসত্ত্বা নারী ও বিদেশে থাকা নাগরিকদের পরিসংখ্যান উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে ১৮ বছরের নিচে রয়েছে প্রায় ৩৭ ভাগ মানুষ, ৩০ লাখের মতো নারী অন্তঃসত্ত্বা এবং প্রায় কোটি মানুষ বিদেশে থাকায় অক্সফোর্ড ও কোভ্যাক্স ভ্যাকসিন দিয়ে দেশের প্রায় সব মানুষেরই ভ্যাকসিন প্রাপ্তি ঘটবে। তবে এসব কিছুর পরও মানুষকে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করা অব্যাহত রাখতে হবে।

ব্রিফিংকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ কর্তৃক সম্প্রতি প্রকাশিত জরিপে বাংলাদেশের সাফল্য উল্লেখ করে বলেন, কোভিড মোকাবেলায় বাংলাদেশ যে সফল হয়েছে সেকথা এখন কেবল আমরা নই, খোদ আমেরিকার সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ গত ৪-৫ মাসের বিশ্বব্যাপী কোভিড জরিপ শেষে বাংলাদেশকে কোভিড মোকাবেলায় ২০তম হিসেবে ও দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে এক নম্বর দেশ হিসেবে কৃতিত্ব দিয়েছে। এটি আমাদের জন্য বিরাট স্বীকৃতি। এই জরিপ খোদ আমেরিকাই রয়েছে ৪০তম অবস্থানে, ইউকে রয়েছে ৩৯তম অবস্থানে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান অনুযায়ী- ভারত, পাকিস্তান, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার এই দেশগুলোরও উপরে রয়েছে। এই কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার, এই কৃতিত্ব দেশের চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের, এই কৃতিত্ব মিডিয়াসহ সব করোনা যোদ্ধাদের।

পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহাবুবুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ সময় ল্যাবে কর্তব্যরত গবেষকদের কাছে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার খোঁজখবর নেন এবং পরামর্শ প্রদান করেন।


Exit mobile version