মদপান করিয়ে বানানো হয় মাতাল, পরে হাতুড়িপেটা করে হত্যা


ইউএনভি ডেস্ক:

পূর্ব পরিচিত হওয়ায় বাসায় নিয়মিত যাতায়াত ছিল খুনিদের। একদিন পরিকল্পনা করে হত্যার। যেই পরিকল্পনা সেই কাজ। খুনিরা ওই ব্যক্তিকে দেশীয় মদ পান করিয়ে প্রথমে মাতাল করে। পরে মুখ, হাত-পা বেঁধে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে মোবাইল ও বাই সাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। ডিবির তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।


রাজধানীর দারুস সালামে গত বুধবার আক্তার হোসেন নামের ওই ব্যক্তিকে খুনের সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) মিরপুর জোনাল টিম।

শুক্রবার রাতে ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন- মো. বাকের খান, মো. আব্দুর রব ও মো. আবুল হাসেম। এই তিনজন পূর্ব পরিচিত হওয়ায় আক্তারের বাসায় নিয়মিত যাতায়াত করতেন। তাদের ধারণা ছিল, ওই বাসায় অনেক টাকা আছে। সেই টাকা হাতিয়ে নিতেই হত্যার পরিকল্পনা করেন তারা।

এদিকে হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতারের পর শনিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানান ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার। তিনি জানান, আক্তার হোসেন এবং গ্রেফতার তিনজন একই মহল্লায় বসবাস করেন। তারা সবাই পূর্ব পরিচিত। ঘটনার প্রায় তিন মাস আগে পাশাপাশি ভাড়াটিয়া হিসেবে তারা থাকতেন। কয়েকদিন আগে তারা বাসা পরিবর্তন করে অন্য জায়গায় চলে যান। তবে তারা মাঝে মাঝে আক্তারের বাসায় আসা-যাওয়া করতেন। ঘটনার প্রায় এক মাস আগে গ্রেফতার বাকের খান আক্তারের বাসা থেকে ২০ হাজার টাকা চুরি করেন। পরে তাদের ধারণা হয়, এই বাসায় আরও অনেক টাকা থাকতে পারে। এই ধারণা থেকেই তারা আক্তারকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

তিনি বলেন, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি আক্তার হোসেনের হাত-পা বেঁধে ফেলে খুনিরা। তারপর গলা-মুখ ও মাথায় গুরুতর আঘাত করে তাকে হত্যা করে। দরজা বাইরে থেকে লাগিয়ে পালিয়ে যায় খুনিরা। এ ঘটনায় দারুস সালাম থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়। ডিবি তদন্ত করে এই হত্যায় জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করে।

ডিবি সূত্র জানায়, খুনিরা টাকা না পেয়ে আক্তারের মোবাইল ও বাই সাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। আক্তারের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে খুনিদের শনাক্ত করা হয়। বিপত্নিক আক্তার দারুস সালামের বাগবাড়ী উত্তরপাড়ার ২০৩/এ নম্বরের বাড়ির একটি কক্ষে ভাড়া থাকতেন। চাকরি করতেন মহাখালীর ডিওএইচএসের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। করোনাকালে সেই চাকরি চলে যাওয়ায় তিনি আর্থিক অনটনে পড়েন। খাবার খেতেন পাশেই বোনের বাসায়। রাতে এসে নিজের ভাড়া বাসায় ঘুমাতেন।


শর্টলিংকঃ