- ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ - https://universal24news.com -

মন্ত্রীর নির্দেশে বিএমডিএ’র আট কর্মকর্তার স্ট্যান্ডরিলিজ বাতিল


বিশেষ প্রতিবেদক :

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিএমডিএ’র আট প্রকৌশলী স্ট্যান্ডরিলিজ আদেশ অবশেষে ৪৮ঘণ্টার মধ্যেই বাতিল করা হয়েছে। কৃষিমন্ত্রীর নির্দেশে তাদের তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ। মন্ত্রী রোববার দুপুরে ফোন করে আদেশ প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। বিএমডিএ’র নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শীর্ষ কর্মকর্তা ইউনিভার্সাল২৪নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তবে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রশিদ বলছেন, বিএমডিএ’র চেয়ারম্যানের নির্দেশে বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই আট কর্মকর্তাকে প্রশাসনিক কারণে স্ট্যান্ডরিলিজের আদেশ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই ওই আদেশ স্থগিতের সিদ্ধান্ত হয়েছে।স্ট্যান্ডরিলিজের কারণ দুর্নীতি নয়, প্রশাসনিক।

এই কর্মকর্তারা হলেন- বিএমডিএ’র প্রধান কার্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শামসুল হোদা, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ড. আবুল কাশেম, নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ, নির্বাহী প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) তরিকুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম খান, জয়পুরহাট রিজিয়নের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন্ত কুমার বসাক, রাজশাহীর পবা জোনের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাহাত পারভেজ ও দুর্গাপুর জোনের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. শামসুল আলম।

নির্বাহী পরিচালক আরো জানান, বৃহস্পতিবার রাজশাহীতে বিএমডিএ’র প্রধান কার্যালয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তারা অভিযোগ তদন্তে আসেন। এরপরই ওইদিনই বিকেলে বিএমডিএ’র চেয়ারম্যান ড. আকরাম হোসেন চৌধুরী আট কর্মকর্তাকে স্ট্যান্ডরিলিজের আদেশ দেন। আগামী রোববারের মধ্যে তাদেরকে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান বিএমডিএ। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে, ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত অডিট আপত্তি, কোটি টাকা ব্যয়ে সরকারি প্রকৌশলী ভবন নির্মাণ করেও সেখানে প্রকৌশলী না থাকা, পিপিআর অমান্য করে খণ্ড খণ্ড আকারে প্রয়োজনীয় সরঞ্জমাদি ক্রয়ের মাধ্যমে সরকারি অর্থের ক্ষতি , গোদাগাড়ীতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার হিসেব জালিয়াতি, চলমান প্রকল্পে অনিয়ম, সরকারি পরিপত্র অমান্য করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বেতন স্কেল প্রদান ও পল্লী বিদ্যুতের অবৈধ ব্যবহার।