Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

মশার আক্রমণ থেকে বাঁচার প্রাকৃতিক পন্থা


গ্রীষ্ম, বর্ষা বা শীত- যে কোনো সময় মশার হাত থেকে বাঁচতে রাসায়নিক যুক্ত নানান ধরনের স্প্রে বা কয়েল ব্যবহার করতে হয়।তবে প্রাকৃতিক উপাদান আর কিছু সাবধানতা অবলম্বন করে মশার যন্ত্রণা কমানো সম্ভব।জমে থাকা পানি পরিষ্কার করা: মশা নিধনের ক্ষেত্রে সবসময়ই জমে থাকা পানি অপসারণ করতে বলা হয়।

এই বিষয়ে নিউ জার্সি’তে অবস্থিত ‘রাটগার্স ইউনিভার্সিটি’র কীটবিজ্ঞান বিভাগের পতঙ্গবিশেষজ্ঞ ড. ডিনা ফনসেকা রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “প্রতি তিনদিন পরপর যে কোনো জমে থাকা পানি পরিষ্কার করতে হবে। কারণ মশার ‘লার্ভা’ বা শূককীট কয়েকদিনের মধ্যেই এসব পানিতে জন্মাতে পারে।”

তারমানে হল- বাগানে টবের মধ্যে, যে কোনো গর্ত, বারান্দায় রাখা পাখির পানির বাটি, ভাঙা পাত্র, নষ্ট টায়ার আর আবর্জনার মাঝে কোনো পানি জমে থাকলে পরিষ্কার করতে হবে নিয়মিত।

নেট ব্যবহার করা: দরজা জানালায় নেট লাগানোর মাধ্যমে ঘরে মশা ঢোকার পরিমাণ কমানো যায়। পাশাপাশি দিনের শেষে দরজা জানালা কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ রাখা বা অল্প খোলা রাখলে বাসার মশার পরিমাণ কমানো যায়।

নিজেকে যতটা সম্ভব ঢেকে রাখা: গরমের মধ্যে হয়ত বেশি কাপড় পরে থাকা সম্ভব হয় না। তারপরও যতটা সম্ভব পাতলা কাপড়ের ঢিলেঢালা ফুল হাতা জামা ও প্যান্ট পরে দেহের অধিকাংশ অংশ ঢেকে রাখতে পারলে মশার কামড়ের পরিমাণ কমানো সম্ভব। পাশাপাশি মনে রাখতে হবে- কীট-পতঙ্গ সাধারণত গাঢ় রংয়ে আকৃষ্ট হয়। তাই পোশাকের রং হতে হবে হালকা বা সাদা। এতে গরমের মধ্যেও স্বস্তি কাজ করবে আর মশাকে আকর্ষণ করবে কম।

সরাসরি ফ্যানের বাতাস: ওড়ার ক্ষেত্রে মশা তেমন শক্তিশালী না। জোরে বাতাস বইলে তাই এরা স্থির থাকতে পারে না। তাই ঘরে, বারান্দা বা উঠানে বসলে স্ট্যান্ড ফ্যানের জোরালো বাতাসের সরাসরি প্রবাহের মাধ্যমে মশা আক্রমণ কমানো যায়।

প্রসাধনী পণ্য পরিবর্তন: যুক্তরাষ্ট্রের ‘ভার্জিনিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট অ্যান্ড স্টেট ইউনিভার্সিটি’র গবেষকদের করা গবেষণার ফলাফল বলে- সাবান বা শ্যাম্পুর গন্ধ মশাকে আকর্ষণ করে। তাই মশার অত্যাচার বেড়ে গেল হালকা বা গন্ধহীন সাবান, শ্যাম্পু, লোশন ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়।

গবেষণায় আরও জানানো হয়- নারিকেলের গন্ধ মশা দূরে রাখতে সাহায্য করে।

লেমন-ইউক্যালিপ্টাস অয়েল: ড. ফনসেকা দাবি করেন- এই ধরনের এসেনশল অয়েল ‘মসকিউটো রিপেলেন্ট’ হিসেবে ভালো কাজ করে।

মশা তাড়ানোর গাছ রাখা: বেসিল, মিন্ট বা পুদিনা, রোজমেরি, লেমনগ্রাস- এই ধরনের গাছের গন্ধ মশা সহ্য করতে পারে না। তাই এই ধরনের গাছ বাসার চারপাশে রাখলে মশার উপদ্রব কমে।

ধোঁয়ার ব্যবহার: যে কোনো ধরনের ধোঁয়া দিয়ে মশা তাড়ানোর ব্যবস্থা করে যায়। যে কারণে ধুপের ধোঁয়া দেওয়ার প্রচলন প্রাচীনকাল থেকে চলছে।

মশার কামড় থেকে জ্বালা-চুলকানির প্রাকৃতিক চিকিৎসা

মশা কামড়লে যে অস্বস্তি হয় সেটার হাত থেকে রেহাই পেতে নানান রকম টোটকা ব্যবহার করা যায়। যেমন-

বেইকিং সোডার পেস্ট বা মিশ্রণ। অল্প পানি বেইকিং সোডাতে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মশা কামড়ানোর জায়গায় লাগানো।
ঠাণ্ডা-ভাপ বা বরফ দিয়ে ঘষা।
গরম ভাপ দেওয়া।
সমপরিমাণ ওটস ও পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে লাগানো।
অ্যালো ভেরার জেল।


Exit mobile version