মহামারীজনিত অবসাদ ঠেকাতে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান ডব্লিওএইচওর


ইউএনভি ডেস্ক: 

করোনাভাইরাসের কারণে ক্রমবর্ধমান অবসাদ ঠেকাতে পদক্ষেপ নিতে ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিওএইচও)।ডব্লিওএইচওর ইউরোপবিষয়ক পরিচালক ড. হ্যান্স ক্লুগ বলেন, অবসাদের মাত্রা একেক দেশে একেক রকম হলেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে এটি ৬০ শতাংশেরও বেশি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশ থেকে পাওয়া এটি একটি সমষ্টিগত তথ্য। এক বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, গত আট মাসে জনগণ করোনাভাইরাস মোকাবেলায় অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে। এ অবস্থায় ক্লান্তি আসা স্বাভাবিক।

তিনি ইউরোপীয় কর্তৃপক্ষকে নতুন ও উদ্ভাবনী উপায়ে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় জনগণের কথা শুনতে এবং তাদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।

এদিকে কোভিড ১৯-এর টিকা এ বছর শেষ নাগাদই প্রস্তুত হয়ে যেতে পারে বলে আশার কথা শুনিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেবরিয়েসুস।

মহামারী নিয়ে সংস্থাটির নির্বাহী পর্ষদের দুদিনের বৈঠকের সমাপনী ভাষণে মঙ্গলবার গেবরিয়েসুস বলেন, আমাদের টিকার প্রয়োজন পড়বে। এ বছর শেষের মধ্যেই আমরা টিকা পেয়ে যেতে পারি, সেই আশা আছে।

টিকা সহজলভ্য হওয়ার পর সমানভাবে এর বিতরণ নিশ্চিত করতে গেবরিয়েসুস সব দেশের নেতাদের একতাবদ্ধ হওয়া এবং রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

পরীক্ষা চলছে এমন ৯টি টিকা ডব্লিউএইচও পরিচালিত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনস গ্লোবাল অ্যাকসেস (সিওভিএএক্স) ফ্যাসিলিটির আওতায় আসার পথে আছে। সিওভিএএক্সের লক্ষ্য ২০২১ সালের শেষ নাগাদ ২০০ কোটি ডোজ টিকা বিতরণ করা।

এ পর্যন্ত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনস গ্লোবাল অ্যাকসেস উদ্যোগে শামিল হয়েছে মোটামুটি ১৬৮ দেশ। তবে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র এর মধ্যে নেই। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন বলেছে, তারা টিকা প্রস্তুতকারকদের কাছ থেকে টিকা সরবরাহ নিশ্চিত করতে বরং দ্বিপক্ষীয় চুক্তির ওপরই নির্ভর করছে।

ডব্লিউএইচও প্রধান গেব্রিয়েসুস বলেন, আগমনের পথে থাকা টিকা এবং অন্যান্য পণ্যের জন্য বিশেষত বিশ্বের নেতাদের কাছ থেকে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি পাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ; বিশেষ করে টিকা সমানভাবে বিতরণের ক্ষেত্রে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রত্যেকেরই একে অপরকে প্রয়োজন, আমাদের একতা প্রয়োজন এবং ভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ে সর্বশক্তিকে কাজে লাগানো প্রয়োজন।


শর্টলিংকঃ