Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

মাঝারি তাপপ্রবাহে তেঁতে উঠেছে উত্তরের জনজীবন


 নিজস্ব প্রতিবেদক :

মাঝারি তাপপ্রবাহে উত্তপ্ত হয়ে পড়েছে রাজশাহী অঞ্চল। তীব্র ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে প্রাণিকূল। আজ মওসুমের দেশের সর্বো্চ্চ তাপমাত্রা ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়ালে পৌঁছেছে রাজশাহীতে। আবহাওয়া অফিসে তথ্যমতে, তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি পর্যন্ত থাকলে তাকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বলা হয়। 

তীব্র রোদ আর ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে  রাজশাহী ছাড়াও চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, নাটোর, জয়পুরহাট, বগুড়াসহ গোটা উত্তরাঞ্চলের মানুষ।নগরবাসী বলছেন,  আকাশ থেকে যেন আগুন ঢেলে পড়ছে মাটিতে। আজ  সকাল থেকেই যেন রুদ্রমূর্তি ধারণ করছে প্রকৃতি। মানবকূলের পাশাপাশি দুঃসহ গরমে হাঁস-ফাঁস করছে প্রাণিকূলও। নিতান্তই প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না মানুষ। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ফাঁকা হয়ে গেছে পথঘাট।

রাজশাহী নগরীর দক্ষিণের পদ্মার ধূ-ধূ বালুচর থেকে বয়ে আসা গরম বাতাস শরীরে বিঁধছে আগুনের হলকার মতো। আজ রোববার সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস হওয়ায়  নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে যোগ দিয়েছেন কর্মজীবীরা। এই তীব্র গরম ও রোদের কবলে পড়েছে শিক্ষার্থীরাও। বেলা বাড়ার সাথে সাথে তাপমাত্রার পারদ কেবল ওপরে উঠছে।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক আব্দুস সালাম উনিভার্সাল২৪নিউজকে জানান,  আজ দুপুরে রাজশাহীতে দেশের সর্বোচ্চ ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এটি চলতি মওসুমে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।  সোমবার তাপমাত্রা আরো বাড়তে বলে  আভাস দিচ্ছে আবহাওয়া অফিস। তবে বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা স্বাভাবিকে ফিরবে।

রাজশাহী আবহাওয়া আরো জানায়, রাজশাহী অঞ্চলের উপর দিয়ে গত কয়েক দিন ধরে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তাপমাত্রা সাধারণত ৩৬ থকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়। আর ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা থাকলে তাকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বলা হয়। এছাড়া তাপমাত্রা ৪০ এর ওপরে উঠলেই তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলে বলা হয়ে থাকে।

আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে,  ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  যা এখন পর্যন্ত এটিই দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। ২০০৫ সালের ১২ জুন রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর ২০১৪ সালের ২১ মে উঠেছিল ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ২০১৬ সালের ২৯ এপ্রিল উঠেছিল ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর আর এই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা অতিক্রম করেনি বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে।

এদিকে, তীব্র গরমের কারণে হাসপাতালে হিটস্ট্রোক ও ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েছে  হাসপাতালগুলোতে।


Exit mobile version