- ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ - https://universal24news.com -

মাত্র ৬০হাজার টাকা হলেই বাঁচতে পারে শিশুটি


কলিট তালুকদার, পাবনা :

অর্থাভাবে শিশুসন্তানের চিকিৎসা করাতে পারছেন না অসহায় পরিবারটি। হাল ছেড়ে দিয়েছেন বাবা। কিন্তু দমে যান নি মা। ছেলের চিকিৎসার খরচ জোগাতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তিনি। মাত্র ৬০ হাজার টাকার জন্য অপারেশন হচ্ছে না আমির হামজার।

শিশু আমির হামজা

দুই বছর আগে পাবনার চাটমোহর উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের দিনমজুর রফিকুল ইসলাম ও সমেলা খাতুন দম্পত্তির ঘর আলো করে জন্ম গ্রহন করে একটি পুত্র সন্তান। গরীব ঘরে জন্ম নেওয়ায় দিনমজুর বাবা-মা আদর করে ছেলের নাম রেখেছিলেন আমির হামজা। আমির হামজা হার্টে ছিদ্র নিয়ে জন্ম নেয়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে ক্রমেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশুটি।

সমবয়সী শিশুরা যখন খেলাধুলা ও হই-হুল্লোড় করে সেই সময় আমির মায়ের কোলে বসে অবাক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে। মুখ থেকে হারিয়ে গেছে হাসি।আমির হামজার মা সমেলা খাতুন  ছেলের শারীরিক অবস্থার বিবরণ দিতে গিয়ে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠেন জানান, বয়স বাড়ার সাথে সাথে উঁচু হয়ে যাচ্ছে আমির হামজার বুক। শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। সারাদিন ডুকরে ডুকরে কাঁদতে থাকে সে। কথা বলার শক্তিও নেই তার। বাড়ির পাশে সমবয়সী শিশুরা যখন ছোটাছুটি করে তখন আমির হামজার সময় কাটে মায়ের কোলে বসে।

জন্মের পর আমির হামজা অসুস্থ হলে স্থানীয় চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করান। সুস্থ না হওয়ায় ধারদেনা করে ছেলেকে নিয়ে যান ঢাকার শের-ই বাংলা নগরে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে। সেখানে নানা পরীক্ষা-নীরিক্ষা করার পর হার্টে ছিদ্র ধরা পড়ে।

সেখানকার চিকিৎসক বলেছেন অপারেশন করালে শিশুটির রোগমুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এরজন্য প্রয়োজন প্রায় দেড় লাখ টাকা। চিকিৎসকের এমন কথা শুনে দরিদ্র বাবা-মা চিকিৎসা না করিয়ে আমির হামজাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন।

হাল ছেড়ে দেন বাবা রফিকুল ইসলাম। কিন্তু সমেলা খাতুন ছেলেকে সুস্থ করতে জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে বিত্তবানদের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে থাকেন। অবশেষে স্থানীয় পত্র-পত্রিকায় আমির হামজাকে নিউজ প্রকাশ হলে অনেকেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। অনেকের এগিয়ে আসায় আশার আলো দেখতে শুরু করেন শিশুটির মা সমেলা খাতুন।

এখন আর মাত্র ৬০ হাজার টাকার অভাবে ছেলের অপারেশন করাতে পারছে না অসহায় পরিবারটি। এখন সামান্য টাকার জন্য অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে শিশুটির চিকিৎসা।

সমাজের বিত্তবানদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে কান্নাজড়িত কন্ঠে সমেলা খাতুন বলেন,  আমার ছেলেকে বাঁচাতে চাই। আপনারা আমার ছেলেকে বাঁচান।