নিজস্ব প্রতিবেদক :
নগরীতে মাদক নির্মূলে ওয়ার্ডভিত্তিক কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। বলেছেন, মাদক ব্যবসায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। মাদক নির্মূলে এক মাসের মধ্যে ওয়ার্ড পর্যায়ে কাউন্সিলর, শিক্ষক, ইমামসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নিয়ে কমিটি গঠন করে দেয়া হবে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে নগরভবনের সরিৎ দত্ত গুপ্ত কনফান্সের রুমে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন (দ্বিতীয় রাউন্ড) উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মেয়র লিটন বলেন, বতর্মান সরকার স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দৌরগোড়ায় পৌছে দিয়েছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মানুষদের বিনামূল্যে ৩০ প্রকারের ওষুধ দিচ্ছে সরকার। অনেক দেশের চেয়ে আমাদের স্বাস্থ্যসেবা ভালো জায়গায় পৌছেছে। আর স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের অনেকবার প্রথম হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবায় দেশের মধ্যে দৃষ্টান্ত রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন।
সংবাদ সম্মেলনে মেয়র আরো বলেন, এবার দেশে তৈরি ভিটামিন এ ক্যাপসুল শিশুদের খাওয়ানো হবে। এটি বতর্মান সরকার ও স্বাস্থ্যখাতের সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকতা ও স্বদিচ্ছার ফলে সম্ভব হয়েছে। এ জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
রাসিক পরিচালিত সিটি হাসপাতালের উন্নয়নে বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানিয়ে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন আরও বলেন, সিটি হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়ানো হবে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে হাসপাতালের পাশে ফাঁকা জায়গায় বহুতল ভবন নির্মান করে সেখানে গার্লস মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হবে। সিটি হাসপাতালে সীমিত অর্থে মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করতে চাই। রাজশাহী-নাটোর রোড থেকে সিটি হাসপাতাল পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্তও করা হবে।
খাদ্যে ভেজাল ও মেয়াদোর্ত্তীণ ওষুদের বিরুদ্ধে অভিযানের ঘোষণা দিয়ে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, যারা খাদ্যে ভেজাল দেন, অথবা মেয়াদোর্ত্তীণ ও অনুমোদনহীন ওষুধ বিক্রি করেন, তাদের সর্তক করছি। এসব ব্যাপারে আমরা কঠোর এ্যাকশনে যাব। দলীয় কোনো বিষয় দেখা হবে না। জনগণের স্বার্থে, রাজশাহীর মানুষের স্বার্থে ঝুঁকি নিতে চাই। তবে অন্যায়ভাবে কাউকে ধরা হবে না।
সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূরুজ্জামান টুকুর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন টুনু, সচিব রেজাউল করিম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এএফএম আঞ্জুমান আরা ।
উল্লেখ্য, আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ৩৮৪টি কেন্দ্রে ৬-১১ মাস বয়সী ৭ হাজার ৯৭৬ এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ৫৪ হাজার ৯৭৭জন শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। স্থায়ী ৩৪৩টি এবং ভ্রাম্যমান ৪১টি কেন্দ্রে সর্বমোট ৭৬৮জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়োজিত থাকবে।
