মান্দায় ১৫০ বিঘার জলাশয় প্রভাবশালীর দখলে


কাজী কামাল হোসেন, নওগাঁ:

নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলায় ব্যক্তি মালিকানাধীন সম্পত্তির উপর অবস্থিত একটি বিলে প্রভাবশালীরা মাছ ছেড়ে দিয়ে জোরপূর্বক সম্পত্তির মালিকদের বঞ্চিত করে এককভাবে ভোগ দখল করে যাচ্ছে।

এতে ঐ সম্পত্তির প্রকৃত মালিকদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এ ফলে যে কোন সেখানে আইন শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। প্রায় দু’মাস আগে এই ঘটনায় প্রভাবশালীদের হাতে এক ব্যক্তি মাছ ধরতে গিয়ে খুন হয়েছে বলে এলাকাবাসীরা অভিযোগ করেছেন।

মান্দা উপজেলার কাঁশোপাড়া ইউনিয়নে রাঙামাটিয়া এবং পাটগাড়ি নামক দুটি পৃথক বিলে এই ঘটনা ঘটেছে।

রাঙামাটিয়া মৌজার আলহাজ্ব তছির উদ্দিনের পুত্র মোঃ আব্দুল মান্নান, মৃত রিয়াজ উদ্দিন মন্ডলের পুত্র মোঃ মমতাজ হোসেন ও মৃত মোহর সরদারের পুত্র মোঃ বয়েন উদ্দিন সরদার এবং কৈবর্তপাড়া গ্রামের মৃত তফির উদ্দিন সরদারের পুত্র আলহাজ্ব মোঃ আবুল কালাম আজাদসহ প্রায় শতাধিক ব্যক্তি এ ব্যপারে মান্দা উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে ঐ বিলের প্রকৃত সম্পত্তির মালিকা যারা তারা যেন সবাই সমভাবে ভোগদখল করতে পারেন এবং পুনরায় যাতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোন অপ্রতিকর ঘটনা বা খুনের মত ঘটনা না ঘটতে পারে সেই আবেদন করা হয়েছে। আবেদনের একটি অনুলিপি জেলা মৎস্য অফিসার বরাবর দেয়া হয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়েছে রাঙামাটিয়া মৌজায় প্রায় শতাধিক ব্যক্তির মালিকানায় ১০০ বিঘা এবং পাশেই পাটগাড়ি মৌজায় ৫০/৬০ বিঘা জমির জলাশয় রয়েছে। এই বিলে কৈবর্তপাড়া গ্রামের মোঃ ময়নুল ইসলামের পুত্র মোঃ আব্দুল মতিন ও আসাদুজ্জামান নুর, লুৎফর রহমানের পুত্র বজলুর রশিদ, মৃত কছির উদ্দিনের পুত্র মোঃ মাজেদ আলী, আতোয়ার হোসেনের পুত্র আব্দুল মান্নান, রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের তমিজ উদ্দিনের পুত্র মোঃ নজরুল ইসলাম এবং কাঁশোপাড়া গ্রামের সাদেক আলীর পুত্র মোঃ বাবু হাজী সম্পত্তির মালিকদের মতামত উপেক্ষা করে জোরপূর্বক মাছ চাষ করে অসছে।

তারা ঐ গ্রামের প্রকৃত জমির মালিকদের বিলে মাছ ধরতে দেয়না। এমনকি মাছ চাষের কোন লভ্যাংশ পর্যন্ত তাদের দেয়া হয় না। এই বিলে এলাকার দরিদ্র জনসাধার মাছ ধরে তাদের প্রাত্যহিক আমিষের চাহিদা মিটিয়ে থাকতেন। কিন্তু এই প্রভাবশালীরা মাছ ছেড়ে দিয়ে তা সম্পূর্নভাবে বন্ধ করে দিয়েছে।

এর ফলে বিলে অবস্থিত সম্পত্তির মালিকরা ক্ষতিগ্রস্থ হলেও জোরপূর্বক মাছ চাষ করে তারা অনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে। এ ব্যপারে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফিরোজ আহম্মেদ এ ব্যপারে এলাকাবাসীর একটি অভিযোগ পেয়েছেন বলে জানান। তবে তিনি অভিযোগকারীদের নিয়ম মেনে আবেদন করার পরামর্শ দিয়েছেন। নিয়মমত অভিযোগ পেলে দাপ্তরিক ব্যস্থা গ্রহন করবেন।


শর্টলিংকঃ