মার্কিন প্রেসিডেন্টের ক্ষমার জন্য ঘুষের অভিযোগের তদন্ত শুরু


ইউএনভি ডেস্ক:

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের ক্ষমার জন্য হোয়াইট হাউজে কিংবা সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক কমিটির সঙ্গে ঘুষ লেনদেনের পরিকল্পনার সম্ভাব্য একটি ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে দেশটির বিচার বিভাগ। মঙ্গলবার ফেডারেল আদালতের একটি নথি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

যুদ্ধ থামালাম আমি আর নোবেল পেল অন্য কেউ: ট্রাম্প

ট্রাম্প প্রশাসনের বেশ কয়েক জন শীর্ষ উপদেষ্টা ইতোমধ্যে ফৌজদারি অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে যারা অনুগত তাদেরকে সম্ভবত ক্ষমতা থেকে বিদায়ের আগে ক্ষমা করতে চাচ্ছেন ট্রাম্প। মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত নথি প্রকাশের পর ট্রাম্পের মেয়াদের শেষ বেলায় নতুন আলোচনার জন্ম হলো।

মঙ্গলবার ২০ পৃষ্ঠার ওই নথিটি প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটন ডিসির ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট। নথির এই সংস্করণটি সবার দেখার জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হলেও এর অর্ধেক তথ্যই ঢেকে রাখা হয়েছে। যে অংশটুকু পড়া যায়, তাতে কারও নাম বা অভিযোগের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য নেই। এতে দেখা গেছে, আগস্টে ক্ষমার বিনিময়ে ঘুষ লেনদেনের নথি দেখার অনুমতি চেয়ে প্রসিকিউশনের আবেদন পর্যালোচনা করছেন বিচারক বেরিল হাওয়েল। মঙ্গলবার তিনি তদন্ত শুরুর অনুমতি দেন।

প্রসিকিউটররা আদালতকে বলেছেন, ঘুষ লেনদেনের পরিকল্পনার কিছু প্রমাণ তারা পেয়েছেন। প্রেসিডেন্টের ক্ষমা বা দণ্ড মওকুফের বিনিময়ে ‘বড় ধরনের রাজনৈতিক সুবিধা’ দেওয়ার প্রস্তাবের কথা জানতে পেরেছেন তারা।

গত সপ্তাহে ট্রাম্প তার সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনকে ক্ষমা করেছেন। ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের কাছে দুইবার মিথ্যা বলার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন তিনি।


শর্টলিংকঃ