Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

মাস্ক কেলেঙ্কারি: অভিযুক্ত সাতজনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা


ইউএনভি ডেস্ক:

করোনা মহামারিতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী হিসেবে নকল এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহের অভিযুক্ত সাতজন আসামি যেন দেশের বাইরে পালিয়ে যেতে না পারে সে ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়ে পুলিশের ইমিগ্রেশন শাখায় চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

দুদক সচিব বলেন, ‘করোনা মহামারির সময়েও নকল স্বাস্থ্যসেবা সামগ্রী সরবরাহ করা হয়। গুরুতর এই অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। অপরাধের সঙ্গে যুক্ত জেম আইএর চেয়ারম্যান ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন। অপরাধ সংশ্লিষ্ট বাকি আসামিরা যাতে বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারেন সেজন্য কমিশনের পক্ষ থেকে ইমিগ্রেশনে চিঠি দেয়া হয়েছে।’

এর আগে, গত ২৯ সেপ্টেম্বর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এর উপ-পরিচালক মো. নূরুল হুদা বাদী হয়ে ওই সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের (সিএমএসডি) ছয় কর্মকর্তা ও জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও নকল মাস্ক সরবরাহের অভিযোগে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মামলার দিনই দুপুরে সেগুনবাগিচা থেকে জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের গ্রেপ্তার করে দুদক পরিচালক জয়নুল অবেদীন শিবলীর নেতৃত্বাধীন একটি দল। সেদিন বিকালে তাকে আদালাতে তোলা হয়। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

রাজ্জাক ছাড়া ওই মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- সিএমএসডি’র উপপরিচালক ডা. জাকির হোসেন, সহকারী পরিচালক ডা. শাহজাহান সরকার, চিফ কো-অর্ডিনেটর ও ডেস্ক অফিসার জিয়াউল হক, ডেস্ক অফিসার (বর্তমানে মেডিক্যাল অফিসার, জামালপুর) সাব্বির আহমেদ, স্টোর অফিসার (পিআরএল ভোগরত) কবির আহমেদ, সিনিয়র স্টোর কিপার ইউসুফ ফকির।

এর আগে গত ১০ জুন কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জাম ক্রয়সহ বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।


Exit mobile version