পুঠিয়ায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে তালা!


আবু হাসাদ কামাল, পুঠিয়া:

সারা দেশের ন্যায় রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ও যাদুঘর ভবন নির্মাণকাল এক বছরেরও বেশি। সম্প্রতি আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করতে ভবনটি এক দিনের জন্য তালা খোলা হয়। উদ্বোধন শেষে ভবনটি আবারো তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের অভিযোগ, দীর্ঘ প্রতিক্ষিত মুক্তিযোদ্ধাদের ভবন নির্মান কাজ শেষে উদ্বোধন হলেও এখনো পর্যন্ত আমাদের হাতে বুঝিয়ে দেয়া হয়নি।

 

পুঠিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ও যাদুঘর ভবন

উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের অধীনে উপজেলা পরিষদের পশ্চিম পাশে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ও যাদুঘর ভবন নির্মাণ করা হয়। এতে ব্যয় করা হয়েছে প্রায় দু’কোটি আড়াই লাখ টাকা। গত ২০১৭ সালের শেষের দিকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ভবন নির্মান কাজ শেষ করে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর করেন। এরপর বিভিন্ন জটিলতার কারণে ভবনটি উদ্বোধনের জটিলতা দেখা দেয়। চলতি বছর জুলাইয়ে বর্তমান সাংসদ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) ডাঃ মনসুর রহমান আনুষ্ঠানিক ভাবে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ও যাদুঘর ভবনটি উদ্বোধন করেন।

মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ দুলু বলেন, ভবনটি উদ্বোধন হলেও এখনো পর্যন্ত আমাদের হাতে বুঝিয়ে দেয়া হয়নি। অপরদিকে আইনী জটিলতার কারণে দীর্ঘদিন থেকে আমাদের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচন বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমাদের সংসদের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন।

নির্বাচিত সংসদ না থাকায় আমাদের নতুন ভবনে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। মুক্তিযোদ্ধাগণ বিভিন্ন সময় আমার দোকানে অথবা পুরোনো অফিসে নিজেদের প্রয়োজনীয় কাজ গুলো সেরে ফেলি।

অপরদিকে বানেশ্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা গাজি সুলতান বলেন, মুক্তিযোদ্ধা ভবনটি পরিচালনা করতে আমাদের অনেক ব্যয় হবে। আমরা চিন্তা ভাবনা করছি ভবনের কিছু অংশ ভাড়া দিয়ে আমাদের ব্যয় বহন সম্ভব। চুক্তি মোতাবেক ভাড়াটে পাওয়া গেলে অচিরেই ভবন খুলে দেয়া হবে।

তবে উপজেলা প্রকৌশলী সাইদুর রহমান বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি কাজ শেষে ভবনটি আমাদের কাছে হস্তান্তর করলেও এর কিছু নিয়ম আছে। নির্মিত ভবনটি আমরা এখনো পর্যবেক্ষনে রেখেছি। সকল কাগজপত্র গুলো ঠিক হয়ে গেলে অল্প কিছু দিনের মধ্যে ভবনটি আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে হস্তান্তর করবো।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওলিউজ্জামান বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ও যাদুঘর ভবন উদ্বোধন হলেও এখনো পর্যন্ত আমাদের কাছে হস্তান্তর করেননি উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর। যেহুত বর্তমানে জেলা প্রশাসক মক্তিযোদ্ধা সংসদের সভাপতি তাই বিষয়টি আমি স্যারকে জানিয়েছি। আশা করা যায় আগামী এক মাসের মধ্যে হয়তো আমরা ভবনটি বুঝে পাবো।

 


শর্টলিংকঃ