Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

মুজিববর্ষের কর্মসূচিতে শুধু কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেবেন

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লিখবেন একটি বিশেষ লেখা। বঙ্গবন্ধুর জীবন ও সংগ্রামের ওপর শিশুতোষ এই লেখা আগামী ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে পাঠ করবে সারাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়পড়ূয়া ১ কোটি ৪০ লাখ শিশু। আগামী ১৭ মার্চ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী তথা মুজিববর্ষ উদযাপন শুরু হচ্ছে। এ উপলক্ষে ওই দিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে সারাদেশের ৬৫ হাজার ৬২০ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একযোগে এই লেখার পাঠ আয়োজন করা হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ উদ্যোগ নিয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম আল হোসেন সমকালকে বলেন, জাতির পিতার জীবন ও সংগ্রামের তথ্যগুলো জানার মধ্য দিয়ে সারাদেশের প্রায় দেড় কোটি শিশুর মধ্যে দেশপ্রেম ও স্বাধীনতার চেতনা জাগ্রত করা এ আয়োজনের উদ্দেশ্য। আজকের শিশুরাই ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ গড়ার মূল কারিগর। তাই তাদের উজ্জীবিত করার জন্যই এ উদ্যোগ। জানা গেছে, গত ১০ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন ও মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম আল হোসেন। প্রধানমন্ত্রী এ প্রস্তাবে সম্মতি দেন। সচিব আকরাম আল হোসেন জানান, কেবল এই লেখা পাঠই নয়; বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় একাধিক উদ্যোগ নিয়ে তা বাস্তবায়ন করছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়পডুয়া শিশুরা যেন শুদ্ধভাবে বাংলা ও ইংরেজি পড়তে পারে, সেটি সরকারের লক্ষ্য। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিশু সাবলীলভাবে বাংলা ও ইংরেজি রিডিং পড়তে পারবে। আর মুজিববর্ষের মধ্যে সারাদেশের শতভাগ শিশুই তা পারবে। এর বাইরে 'ওয়ান ডে, ওয়ান ওয়ার্ড' কর্মসূচির আওতায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব শিশুকে প্রতিদিন একটি বাংলা ও একটি ইংরেজি শব্দ শেখানো হচ্ছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব বলেন, মুজিববর্ষে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে শিক্ষাসহায়ক উপকরণ হিসেবে স্কুল ড্রেস, জুতা ও ব্যাগ কেনার জন্য ৫০০ টাকা করে দেবে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে মুজিববর্ষে এটা শিক্ষার্থীদের জন্য উপহার। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রতি মাসে ১০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫০ টাকা করা হতে পারে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৭ মার্চ মুজিববর্ষের শুরুতেই সারাদেশের প্রায় এক কোটি ৪০ লাখ প্রাথমিক শিক্ষার্থীর মায়েদের কাছে নতুন পোশাকের জন্য টাকা দেওয়া হবে। এ জন্য এখন থেকেই মন্ত্রণালয় প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন সমকালকে বলেন, শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে প্রফুল্ল রাখতে সরকার সচেষ্ট। সে কারণে প্রতি বছরের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পাঠ্যবই ও উপবৃত্তির টাকা দেওয়া হয়। এর বাইরে এবার মুজিববর্ষে শিক্ষা উপকরণ কেনার জন্য এককালীন ৫০০ টাকা করে দেওয়া হবে। এ জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

ইউএনভি ডেস্ক:

করোনাভাইরাসের কারণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর সংক্ষিপ্ত কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ১৪ দল।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিমজানান, জনসমাগম এড়িয়ে মুজিববর্ষের কর্মসূচিতে শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেবেন। মুজিববর্ষ উপলক্ষে ১৭ মার্চ ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং তরিকত ফেডারেশনের অফিসে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করবে ১৪ দল। ২০ মার্চ টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা জানাবেন রা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ধানমণ্ডির নিজ বাসায় কেন্দ্রীয় ১৪ দলের এক জরুরি বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।

করোনাভাইরাসে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্কতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার আহ্বান জানিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বাঙালি জাতি সাহসী জাতি। যে কোনো দুর্যোগে বাঙালি ঘুরে দাঁড়ায়। আমরা বিশ্বাস করি, আতঙ্কিত না হয়ে আবারও আমাদের সাহসের সঙ্গে এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে।

এ সময় করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের পদক্ষেপ এবং আন্তরিকতার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদেরও আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

করোনাভাইরাসে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রবাসীদের দেশে আসা নিরুৎসাহিত করে তিনি বলেন, বিদেশে যারা আছেন আপাতত আপনারা সেই দেশের সরকারের পরামর্শ ও পদক্ষেপ অনুযায়ী সেখানে থাকেন। কারণ ব্যাপক হারে প্রবাসীরা দেশে আসলে জনগণের মধ্যে কিছুটা হলেও আতঙ্ক সৃষ্টি হবে।

বিমানবন্দরে আরও সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানিয়ে নাসিম বলেন, বিদেশ থেকে যারা আসবে তাদের আরও সতর্কতার সঙ্গে স্ক্যানিং করতে হবে। যদি সম্ভব হয় তাহলে বিদেশ থেকে যারা আসবেন তাদের অন্তত ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। কারণ তারা যদি দেশে এসে মানুষের সঙ্গে মিশে গ্রাম-গঞ্জে ঘুরে বেড়ায় এবং তাদের মধ্যে কোনো ভাইরাসের জীবাণু থাকে, তাহলে সেটা ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশংকা থাকবে।

মানুষের দুর্যোগের সুযোগ নিয়ে অধিক মুনাফা লাভের চেষ্টা পরিহার করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানায় ১৪ দলীয় জোট। জোটের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, দুর্যোগের সুযোগ নিয়ে যারা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে, সেসব অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করতে বিমানবন্দরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা আরও জোরালো করার পরামর্শ দেন তিনি।

এ সময় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টি (জেপি) মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ওয়াজেদুল ইসলাম খান, গণআজাদি লীগের সভাপতি এস কে শিকদার, ন্যাপের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান প্রমুখ।


Exit mobile version