মেডিকেল পরীক্ষা: কোচিং সেন্টার বন্ধ, অনলাইনে নজরদারি


আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত দেড় মাসের জন্য রাজধানীসহ সারাদেশে মেডিকেল কোচিং সেন্টার বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। আগামী ৪ অক্টোবর স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধীন রাজধানীসহ সারাদেশের ১৯টি সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস প্রথম বর্ষের (২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষ) ভর্তি পরীক্ষাকে সামনে রেখে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কেন্দ্রীয়ভাবে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে এ পরীক্ষা নেয়া হবে।

এছাড়া এই পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা কোথাও ভুয়া প্রশ্ন কেনাবেচা রুখতে অনলাইন নজরদারি জোরদার করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোন আইডি, পেজ কিংবা গ্ৰুপ থেকে প্রশ্ন বিক্রির আহ্বান করা হচ্ছে কিনা- সে বিষয়ে কাজ করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার মনিটরিং সেল। এসব পেজে কারা লাইক কমেন্টস করছে, কারা যোগাযোগ করছে এবং কারা এসব পেজ পরিচালনা করছে সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক ডাক্তার এ কে এম আহসান হাবীব জানান, মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা বরাবরই সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। স্বচ্ছতার সঙ্গে পরীক্ষা গ্রহণের ব্যাপারে সরকারের ঊর্ধ্বতন নীতিনির্ধারক রয়েছেন। সিদ্ধান্ত অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং এজন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সর্বদা সজাগ রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

গত ২৭ আগস্ট থেকে অনলাইনে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার আবেদনপত্র গ্রহণ শুরু হয়। প্রথম দুদিনে ৪৬ হাজার আবেদন জমা পড়ে। ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে আবেদনের গ্রহণ করা হবে। আগামী ৪ অক্টোবর (শুক্রবার) সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ১০০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নপত্রে কেন্দ্রীয়ভাবে রাজধানীসহ সারাদেশে লিখিত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

বর্তমানে সরকারি ৩৬টি মেডিকেল কলেজে মোট আসন সংখ্যা ৪ হাজার ৬৮টি। তার মধ্যে ৩ হাজার ৯৬৬টি সাধারণ আসন, ৮২টি মুক্তিযোদ্ধা ও ২০টি উপজাতি কোটা। ১০০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নে পদার্থবিদ্যায় ২০, রসায়নবিদ্যা ২৫, জীববিজ্ঞান ৩০, ইংরেজি ১৫ ও বাংলাদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান ১০ নম্বর থাকবে।


শর্টলিংকঃ