‘মেস ভাড়া মওকুফে উদ্যোগ নিয়ে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ান’


ই বি প্রতিনিধি:
বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক সুবিধার স্বল্পতার কারনে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীদেরকে থাকতে হয় ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী ভাড়া বাসা বা মেসগুলোতে। করোনাভাইরাসজনিত উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা নিজ বাসায় অবস্থান করলেও তাদেকে ভাড়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন অনেক মেস মালিক।

শিক্ষার্থীদের অনেকে টিউশনি ও পার্ট টাইম জব হারিয়ে এবং পরিবারের উপার্জনক্ষম সদস্য কর্মহীন থাকায় আর্থিক সমস্যার মাঝে মেস ভাড়ার জন্য চাপ আরোও অধিক দুর্ভোগে ফেলেছে।

শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে জেলা প্রশাসনকে সাথে নিয়ে মেস ভাড়া মওকুফের উদ্যোগ নিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ছাত্র ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিবৃতিতে এ আহ্বান জানায় সংগঠনটি।

বিবৃতিতে বলা হয়, করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) বিপর্যয়ের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজ বাড়িতে অবস্থান করছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাত্র ২২ শতাংশের মতো শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে। বাকি প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী এলাকা, কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ শহরে বাসা/ মেসে থাকে। বাসা/ মেসে অবস্থানকারী এই শিক্ষার্থীদের বড় অংশ মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের। যারা টিউশন বা পার্ট টাইম জব করে নিজের পড়ালেখার খরচ চালায়। বর্তমানে টিউশন বা অন্য যে সকল উপার্জনের মাধ্যম রয়েছে তা বন্ধ থাকায় তারা নিজেরাই পরিবার নিয়ে চলতে পারছে না।

নেতৃবৃন্দ বলেন, এদিকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে আগামী সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে। এমতাবস্থায় এই শিক্ষার্থীদের পক্ষে লকডাউন কালীন বাসা/ মেস ভাড়া দেয়া সম্ভব নয়। আমরা ইতোমধ্যে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরে অবগত হয়েছি যে, ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী এলাকা, কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ শহরের বাসা/ মেস মালিকগণ শিক্ষার্থীদের ভাড়া পরিশোধের জন্য চাপ দিচ্ছেন।

এমতাবস্থায় বাসা/ মেস ভাড়া দেয়া শিক্ষার্থীদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান রাখছি কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসনকে সাথে নিয়ে বাসা/ মেস মালিকদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে লকডাউন কালীন বাসা/ মেস ভাড়া মওকুফে উদ্যোগ নিয়ে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াবেন।

এর আগে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতে শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক। আমি চাইবো জেলা প্রশাসন বিষয়টি সহানুভূতির সাথে দেখবে।’


শর্টলিংকঃ