ট্রেনের ঝকঝক শব্দ কিংবা পাখির কিচিরমিচিরে সকালে ঘুম ভাংগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রিশ হাজাররেও বেশি শিক্ষক-শিক্ষার্থীর। ক্লাসের ফাঁকে দুপুরের অনুভূতিতে উন্মাতাল মাদকতা এনে দেয় ক্যাম্পাস আড্ডার গান।
অবিরাম গান ও চায়ের কাপের আড্ডায় নিমিষেই বিকেল বিলীন হয় টুকিটাকি,সাগর ক্যান্টিন, এনামুলের দোকান, নাসিরের দোকান, সুরুজের দোকান, লিটনের দোকান কিংবা হলের সামনের কোন স্টলে। এরপর চারিদিক সুনসান করে নামে রজনী।
প্রাচ্যের কেমব্রিজ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছয়টি ঋতুতে ভিন্ন-ভিন্ন রূপ পরিগ্রহণ করে। গ্রীষ্মের আকাশ চাঁদোয়া টানিয়ে নিঃসীম নীলের আবরণে ঢেকে রাখে ৭৫৩ একর জমিন। বর্ষার বৃষ্টি আসে সবচেয়ে রোমান্টিকতা নিয়ে। টুকিটাকি,পরিবহণ মার্কেট, কিংবা হবিবুর,রহমুতুন্নেসা বা সোহওয়ার্দীর পুকুরে বৃষ্টি ধারার শব্দ ক্ষণিক মনে হয় নদীর কুলুধধনি আবার ক্ষণিক মোহ তৈরি করে কেয়া পাতার মর্মর শব্দের।
১১ টি একাডেমিক ভবন, ১৭ টি আবাসিক হল, একটি ডরমেটারী, শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, কাজী নজরুল ইসলাম অডিটোরিয়াম নামে সাংস্কৃতিক চর্চার কেন্দ্র,সুবিশাল স্টেডিয়াম নিয়ে উত্তর জনপদের এই বিশ্ববিদ্যালয় তার শিক্ষা ও সহায়িকা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। মতিহারের এই প্রিয় সবুজ গালিচা সৌন্দর্যে লীলা নিকেতন। আবেগ,অনুভূতি আর প্রেমের চেতনায় এ ক্যাম্পাস সৌন্দর্য বিলায় বিমুগ্ধতায়। আসুন মোল্লাহ মোহাম্মদ সাঈদের ক্যামেরায় দেখে নেই প্রিয় ক্যাম্পাসের অসাধারণ কিছু ছবি