মোহনপুরে আধুনিক প্রযুক্তিতে পান চাষে সাফল্য


রিপন আলী, মোহনপুরঃ

ব্যতিক্রম পদ্ধতিতে পান বরজ তৈরী করছেন রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার ধুরইল ইউনিয়নে মোহনপুর গ্রামের মৃত কছিমদ্দিনের ছেলে সোহরাব আলী। পান বরজে সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বাশের খুটি পরিবর্তে ব্যবহার করেছে সিমেন্টের খুটি আর খড়ের পরিবর্তে ব্যবহার করছেন নেট জাল। এই ব্যতিক্রম পদ্ধতিতে পান চাষ করে এলাকাতে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন কৃষক সোহরাব আলী।


মোহনপুর উপজেলার প্রায় প্রতিটি গ্রামেই আছে পান বরজ। মোহনপুর উপজেলার পান বরজের মধ্যে পানের চাষ হয় এইভাবে। এই পান মোহনপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কৃষি পন্য। পান চাষ করে এখার স্থানীয় জনগন অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছে। আর শুধু তাই নয় এই পানের চাহিদা রয়েছে সারা বাংলাদেশ জুড়ে।

মোহনপুর উপজেলায় পানের কয়েকটি বড় বড় হাট আছ যেখানে সপ্তাহে ২ থেকে ৪ দিন পর্যন্ত বাজার বসে। এখান থেকে বড় ব্যবসায়ীরা পান কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে চাহিদা মতো সরবরাহ করে থাকে। মোহনপুরের পান অনেক সুস্বাদু তাই এখানকার পানকে মিঠা পান বলা হয়।

কৃষক সোহরাব আলী সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি কয়েক বছর ধরে পান চাষ করে আসছি। প্রতি বছর বাশের খুটি ও খড় পরিবর্ত করতে হয়। সেখানে অনেক টাকা খরচ হয়। হঠাৎ আমার মাথা একটা বুদ্ধি আসে যে বাশের খুটির পরিবর্তে সিমেন্ট খুটি ও খড়ের পরিবর্তে নেট জাল ব্যবহার করা হলে খরচ একটু বেশী হলেও প্রতি বছর আর পরিবর্তন করতে হবে না। এই কথা ভেবে আমি সিমেন্ট খুটি ও নেট জাল ব্যবহার করে ৫ কাঠা মাটিতে নতুন একটি পানে বজর তৈরী করেছি। এবং এলাকাতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়ছে। আর আমার এই পান বরজ দেখার জন্য প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত মানুষ আসে।


এই বিষয়ে মোহনপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা রহিমা খাতুন বলেন, মোহনপুর উপজেলার অর্থকারী ফসল হলো পান। পান চাষ করে অনেক কৃষক স্বাবলম্বী হয়েছে। আমাদের পাশ্ববর্তী দেশে ভারতে বাশে খুটি ব্যবহার না করেও তারা পান বরজ তৈরী করছেন এবং পান চাষ করছেন। আমরা এখন পানচাষীদের বাশের খুটি ও খড়ের পরিবর্তে সিমেন্টের খুটি ও নেট জাল ব্যবহার করা জন্য পরামর্শ দিচ্ছি এতে কৃষকেরা বেশী লাভবান হবেন। খড়ে পরিবর্তে নেট জাল ব্যবহার করলে পোকা মাকড়ের আক্রমন কম হওয়া সম্ভবনা রয়েছে।


শর্টলিংকঃ