যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের গোপালগঞ্জ ও পদ্মাসেতু পরিদর্শন


বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার বৃহস্পতি ও শুক্রবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজের জেলা গোপালগঞ্জ সফর করে শোকের মাস আগস্টে জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।


ঢাকায় ফেরার পথে তিনি পদ্মাসেতুর নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেন যা কিনা বাংলাদেশের চলমান দশটি মেগাপ্রজেক্টের অন্যতম। রাষ্ট্রদূত মিলার বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ পরিদর্শন করেন এবং সেখানে পুস্পস্তবক অর্পণ ও এক মিনিট নীরবতা পালন করে প্রয়াত জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

তিনি বঙ্গবন্ধুর জীবন ও অবদান সম্পর্কে আরও জানতে তার পৈতৃক বাড়ি এবং সংলগ্ন জাদুঘর পরিদর্শন করেন।এসময় রাষ্ট্রদূত গর্বের সঙ্গে উল্লেখ করেন যে, ইন্টারন্যাশনাল ভিজিটর লিডারশিপ প্রোগ্রামের (আইভিএলপি) অংশগ্রহণকারী হিসেবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন।

রাষ্ট্রদূত মিলার গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারিনটেনডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। তারা জেলার রাজনৈতিক গুরুত্ব এবং স্থানীয় কৃষি ও উৎপাদনখাতের বিভিন্ন শিল্পসহ অর্থনেতিক কার্যক্রম সম্পর্কে আলোচনা করেন। জেলার বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় ইস্যু এবং স্থানীয় নেতৃত্বের কাছে অগ্রাধিকারের বিষয়গুলো নিয়েও কথা বলেন তারা।

রাষ্ট্রদূত এসময় গোপালগঞ্জের বানিয়ারচর ক্যাথলিক চার্চও পরিদর্শন করেন, যেখানে ২০০১ সালের ৩ জুন এক বোমা হামলায় ১০ জন নিহত ও অনেকে আহত হয়েছিল। রাষ্ট্রদূত চার্চ প্রাঙ্গনে নিহতদের সমাধিও পরিদর্শন করেন। প্যারিশ নেতৃবৃন্দ ও এলাকাবাসীর সঙ্গে আলাপকালে রাষ্ট্রদূত মিলার রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সোচ্চার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন। আন্তঃধর্মীয় ও আন্তঃসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ বাংলাদেশিদের প্রচেষ্টার প্রশংসাও করেন তিনি।

ঢাকায় ফেরার পথে রাষ্ট্রদূত মিলার বাংলাদেশের উন্নয়নকে এগিয়ে নেওয়া চলমান দশটি মেগাপ্রজেক্টের অন্যতম পদ্মাসেতুর নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেন। তিনি প্রকল্প পরিচালকের সঙ্গে দেখা করেন। উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র যে পদ্মা সেতু এবং বাংলাদেশ ও এ অঞ্চলের জন্য কল্যাণকর অন্যান্য অবকাঠামো প্রকল্পের পাশে রয়েছে তা পুনর্ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত। বিজ্ঞপ্তি


শর্টলিংকঃ