যৌতুক না পেয়ে ছুরিকাঘাতে স্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা


রবিউল ইসলাম রবি, দুর্গাপুর :

 রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার কিশোরপুর গ্রামে মালেকা বেগম (৩৫) নামের এক গৃহবধুকে ছুরিকাঘাতে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। যৌতুক না পেয়ে হত্যার চেষ্টা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন ভিকটিম গৃহবধুর ভাই আল আমিন বিশ্বাস। রোববার সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনা  ঘটে।গুরুতর জখম অবস্থায় ওই গৃহবধুকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। 

জানা গেছে, পুঠিয়ার বানেশ্বর এলাকার মৃত নিয়াজ উদ্দিন বিশ্বাসের মেয়ে মালেকা বেগমের দুর্গাপুরের কিশোরপুর গ্রামের আজিজুল কাজীর ছেলে নুরুল হুদার সাথে ২০০০ সালে বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছর পর মালেকা বেগমকে তালাকও দেন। কিছুদিন পর পুণরায় মালেকা বেগমকে বিয়ে করেন। দ্বিতীয় দফায় বিয়ের ৮ বছর পরে নুরুল হুদা কাতারে চলে যান। তিন বছর আগে দেশে ফিরে মালেকা বেগমের কাছে যৌতুক দাবি করেন। যৌতুক দাবি করায় মালেকা বেগমের সাথে দাম্পত্য জীবনে কলহের সৃষ্টি হয়। এরপর আবার কাতারে চলে যান। প্রায় তিন মাস আগে পুনরায় বাড়ি ফিরে আসেন মালেকার স্বামী নুরুল হুদা। এসে আবারো যৌতুক দাবি করেন।

ভিকটিম গৃহবধুর ভাই আল আমিন বিশ্বাস জানান, বোনের সংসারের দিকে তাকিয়ে এক লাখ ১০ হাজার টাকা যৌতুক দেন নুরুল হুদাকে। তারপরও গত মঙ্গলবার হঠাৎ তার বোন মালেকাকে স্বামী নুুরুল হুদা জানায় তাকে তালাক দেয়া হয়েছে। বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হবে। নুরুল হুদার কথায় কর্ণপাত না করে তার বোন মালেকা কিছুতেই বাড়ি ছাড়তে নারাজ হলে শুরু হয় এলোপাতাড়ি মারপিট।

তবে এই কয়েকদিন বাড়ি থাকতেন না নুরুল হুদা। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হঠাৎ বাড়ি এসে মালেকা বেগমকে মারপিট শুরু করে নুরুল হুদা। এক পর্যায়ে পেটে ছুরি দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করে। এ সময় মালেকা বেগম ডান হাত দিয়ে ছুরি ধরে ফেললে মালেকার ডান হাতের চারটি আঙ্গুল কেটে যায়। খবর পেয়ে মালেকাকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় দুর্গাপুর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।

দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খুরশীদা বাণু কণা জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজণীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


শর্টলিংকঃ