রংপুরের দুর্দান্ত জয়ে রাজশাহীর অবনমন


দুই দলের জন্যই ম্যাচটা ছিল অবনমন এড়ানোর লড়াই। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে ছিল রংপুর বিভাগ। সেই রংপুরই শেষ দিনে পেসারদের অসাধারণ বোলিং প্রদর্শনীতে তুলে নিল দুর্দান্ত এক জয়। ব্যাটিং ব্যর্থতায় অবনমন হয়ে গেল রাজশাহী বিভাগের।

অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ম্যাচ সেরা হয়েছেন আরিফুল হক

ওয়ালটন জাতীয় ক্রিকেট লিগের শেষ রাউন্ডের ম্যাচটি রংপুর জিতেছে ১৫৫ রানে। মঙ্গলবার শেষ দিনে ২৪৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় মাত্র ৯৩ রানেই গুটিয়ে যায় রাজশাহী। এই হারে প্রথম স্তর থেকে দ্বিতীয় স্তরে নেমে গেছে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।

রাজশাহী শেষ রাউন্ড শুরু করেছিল ১৭.১১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে থেকে। চারে থাকা রংপুরের পয়েন্ট ছিল ১১.৭২। দারুণ জয়ে রংপুর ২১.৪৬ পয়েন্ট নিয়ে তিনে থেকে লিগ শেষ করেছে। সবার নিচে থাকা রাজশাহীর পয়েন্ট ১৮.৬৫। দ্বিতীয় স্তর থেকে প্রথম স্তরে উঠেছে সিলেট।

রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ২২৮ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করা রংপুর শেষ দিনে আর ব্যাটিংয়ে নামেনি। প্রথম ইনিংসে রংপুর ২০ রানে এগিয়ে থাকায় রাজশাহীর লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৪৯।

কিন্তু লক্ষ্য তাড়ায় মাত্র ৯ রানের মধ্যেই রাজশাহী হারায় তিন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান মিজানুর রহমান, শাখির হোসেন ও অভিষেক মিত্রকে। লাঞ্চের আগে রাজশাহীর স্কোর হয়ে যায় ৭ উইকেটে ৪৩!

লাঞ্চের পর প্রতিরোধ গড়েছিলেন জুনায়েদ সিদ্দিক ও সুজন হাওলাদার। অষ্টম উইকেটে এই দুজন কাটিয়ে দেন ২০ ওভার। তবে রাজশাহীর শেষ রক্ষা হয়নি।

৩৩ রান করা জুনায়েদকে ফিরিয়ে ৩১ রানের জুটি ভাঙেন আলাউদ্দিন বাবু। এরপর ২৭ রান করা সুজনকে নিজের ফিরতি ক্যাচ বানিয়ে রংপুরের জয় নিশ্চিত করেন তানবীর হায়দার। সানজামুল ইসলাম ব্যাটিংয়ে নামতে পারেননি।

আলাউদ্দিন ও আরিফুল হক নেন ৩টি করে উইকেট। আরেক পেসার সাজেদুল ইসলাম নেন ২ উইকেট। একটি উইকেট তানবীরের।

আরিফুল প্রথম ইনিংসে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। ম্যাচে ৯ উইকেট আর ১০৫ রানের জন্য ম্যাচ সেরা হয়েছেন এই পেস অলরাউন্ডার।


শর্টলিংকঃ