রংপুরে স্বামী হত্যায় স্ত্রীর ফাঁসি


রংপুর প্রতিনিধি:

রথীশ হত্যা মামলায় চার্জশিটভুক্ত দুই আসামির মধ্যে জীবিত আছেন তার স্ত্রী স্নিগ্ধা সরকার দীপা। আরেক আসামী দীপার প্রেমিক কামরুল ইসলাম গত বছরের ১০ নভেম্বর ভোরে কারাগারে বন্দি অবস্থায় আত্মহত্যা করেন। স্বাক্ষী ও প্রমাণের ভিত্তিতে রংপুরে আইনজীবী রথীশ চন্দ্র ভৌমিক হত্যা মামলার রায়ে তার স্ত্রীকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

স্বামী রথীশের সঙ্গে স্ত্রী দীপা। ফাইল ছবি।

মঙ্গলবার দুপুরে রংপুর জেলার সিনিয়র দায়রা জজ আদালতের বিচারক এবিএম নিজামুল হক এ রায ঘোষণা করেন। এর আগে মামলার প্রধান আসামি রথীশ চন্দ্রের স্ত্রী দীপা ভৌমিক ওরফে স্নিগ্ধাকে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জেলা দায়রা জজ আদালতে নিয়ে আসা হয়। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতেই ছিলেন।

আদালতের পিপি আবদুল মালেক  বলেন, আমরা আদালতের এ রায়ে সন্তুষ্ট। এখন দ্রুত এই রায় কার্যকর চাই।

আলোচিত রথীশ চন্দ্র হত্যা মামলায় মোট ৩৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে মঙ্গলবার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন আদালত।

২০১৮ সালের ২৯ মার্চ রথীশ চন্দ্র ভৌমিক নিখোঁজ হন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। পাঁচদিন পর (৩ এপ্রিল) রথীশের বাড়ি থেকে কিছু দূরে তাজহাট মোল্লাপাড়ায় একটি নির্মাণাধীন বাড়িতে বালুচাপা দেয়া রথীশের লাশ উদ্ধার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

পরে রথীশের ভাই সুশান্ত ভৌমিক মরদেহ শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় বাদী হয়ে থানায় মামলাও করেন তিনি। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে রথীশের স্ত্রী জানান, কামরুল নামে এক যুবকের সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্কের জেরে রথীশকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হত্যা করেন তিনি।


শর্টলিংকঃ