রমজানের ১০দিন না যেতেই টিসিবি’র খেজুর ও ছোলা শেষ!


বিশেষ প্রতিবেদক :

রমজানের ১০দিন না যেতেই রাজশাহীতে শেষ হয়ে গেছে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবি’র খেজুর। ফলে আজকের পর থেকে কম দামে সরকারী এই পণ্য আর কেনার সুযোগ থাকছে না নিম্নআয়ের মানুষের। টিসিবি কর্তৃপক্ষ বলছে, সরবরাহ শেষ। রমজানে খেজুর আর দেয়া হবে না। আগামী রোববারের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে ছোলাও ।

পবিত্র মাহে রমজানে নিম্নআয়ের মানুষের জন্য সারাদেশে কম দামে তেল, ছোলা, চিনি, খেজুর ও ডাল বিক্রি করে টিসিবি। এবার রমজানের আগে ২৩ এপ্রিল থেকে খেজুর বাদে বাকি পণ্যগুলো বিক্রি শুরু হয়।  তবে সরবরাহে দেরি হওয়ায় ২মে থেকে শুরু হয় খেজুর বিক্রি।

খোলা বাজারের তুলনায় টিসিবি’র পণ্যের দাম খানিকটা কম। একারণে নিম্নআয়ের মানুষ ভীড় জামাচ্ছিল সেগুলো কিনতে। সরেজমিনের দেখা গেছে, অবহু মানুষ প্রখর রোদের মধ্যেও লাইনে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে এসব পণ্য কেনেন। রাজশাহী নগরীর সাহেব বাজার জিরোপয়েন্ট, ভদ্রা মোড় ও লক্ষ্মীপুরসহ ৫টি নির্ধারিত স্থানে ট্রাকে করে এসব পণ্য বিক্রি করছেন ডিলাররা্।

কিন্তু আজ বৃহস্পতিবার থেকে খেজুর আর মিলছে না। ক্রেতারা জানান, রমজানে সবচেয়ে বেশি চাহিদা খেজুরের। কিন্তু মাত্র ১০দিন না যেতেই খেজুর শেষ হয়ে গেছে। সরকারের উচিত দরিদ্র মানুষের জন্য খেজুর আরো সরবরাহ করা। তা না হলে বাজারে যে দাম তাতে কিনে খাওয়া সম্ভব হবে না অনেকেরই।

টিসিবি’র ডিলার ওয়াসিম রেজা ও হারুনুর রশিদ জানান, রমজানে খেজুরের ব্যাপক চাহিদেই থাকে বেশি। ক্রেতাদের সবাই খেজুর কেনেন। কিন্তু আমরা সরবরাহ পাচ্ছি না।একারণে ক্রেতাদের কাছে বিক্রিও করতে পারছি না।

এবিষয়ে টিসিবি’র রাজশাহী আঞ্চলিক অফিস প্রধান প্রতাপ কুমার ইউনিভার্সাল২৪নিউজকে জানান, রাজশাহী বিভাগের জন্য এবার খেজুর বরাদ্দ পাওয়া গিয়েছিল ১০টন। গত ২ মে থেকে ডিলারদের মাধ্যমে তা খুচরা পর্যায়ে বিক্রি শুরু হয়। কিন্তু এরই মধ্যে খেজুরের মজুদ শেষ। তাই এ মওসুমে  টিসিবি থেকে আর খেজুর পাওয়া যাবে না।

এছাড়া, রাজশাহী বিভাগের আট জেলার জন্য এবার ১৯৯টন ছোলা আসে। এরই মধ্যে সেগুলোর বরাদ্দ  ডিলাররা তুলে নিয়ে গেছেন। রোববারের পর আর ছোলা মিলবে না। ছোলাও শেষ হয়ে গেছে।

টিসিবি’র তথ্য বলছে, রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় ডিলার রয়েছেন ৩৮৬জন। কিন্তু চলতি দফায় পণ্য তুলেছেন মাত্র ১০১জন।


শর্টলিংকঃ