নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, মানবিক দিক বিবেচনা করে অটোরিকশাকে চলাচলের অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সিটি কর্পোরেশনের অনুমোদন দেওয়ার অটোরিকশার চেয়ে বর্তমানে প্রায় তিনগুন বেশি চলাচল করছে। এতে করে শহরে তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এজন্য অটোরিকশা চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
‘মহানগরীতে চলাচলকারী অটোরিকশা ও চার্জার রিকশা নিয়ন্ত্রণে ও শৃঙ্খলা আনয়নে’ সকল অটোরিকশা ও চার্জার রিকশার মালিক ও চালক নেতৃবন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।। মঙ্গলবার বিকেলে নগরভবনের সরিৎ দত্ত গুপ্ত সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় মেয়র লিটন বলেন, সব অটোরিকশা দুইটি রঙে ভাগ করে দুইটি শিফটে চালানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এরফলে একদিকে অটোরিকশার সংখ্যা অর্ধেক কমে গিয়ে যানজট কমে যাবে, অন্যদিকে সংখ্যা কম হওয়ায় যাত্রী বেশি পেয়ে চালকদের আয় বৃদ্ধি পাবে। নগরবাসীসহ সবার সুবিধার কথা চিন্তা করে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণে এসব পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এনিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। আগামীতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র-১ ও ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবুর সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা শাহানা আখতার জাহান, রাজশাহী মহানগর ইজিবাইক মালিক-শ্রমিক কল্যান সমবায় সমিতির সভাপতি শরিফুল ইসলাম সাগর, সহ-সভাপতি খন্দকার আরশাদ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, মহানগর ইজিবাইক ইউনিয়নের সহ-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান রিপন। সভায় পাওয়ারপয়েন্টে প্রেজেন্টেশন দেন সহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) আহমেদ আল মঈন পরাগ।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামাল হোসেন, ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এসএম মাহবুবুল হক পাভেল, ১১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রবিউল ইসলাম তজু, রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ মো. নূর-ঈ সাঈদ, মহানগর পুলিশের ট্রাফিক ইনস্পেক্টর মোফাক্কারুল ইসলাম প্রমুখ।
