Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

রাজশাহীতে আন্তর্জাতিক নদীবন্দর স্থাপনে শিগগিরই পদ্মা ড্রেজিং : মেয়র লিটন


নিজস্ব প্রতিবেদক :

প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পাওয়ায় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে সংবর্ধনা দিয়েছে কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এসময় তাকে ১০ফুট দীর্ঘ ফুলের মালা পরিয়ে দেয়া হয়।

রাজশাহীতে আন্তর্জাতিক নদীবন্দর স্থাপনে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে পদ্মায় ক্যাপিটাল ড্রেজিং শিগগিরই শুরু হবে বলে জানিয়েছেন, সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। দুপুরে নগর ভবনে তাকে দেয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা জানান।

তিনি বলেন, ভারতের ধুলিয়ান হতে রাজশাহীর গোদাগাড়ী হয়ে পাকশী পর্যন্ত পদ্মা নদীকে খনন করে নাব্যতা ফিরিয়ে আনা হবে।নদীবন্দর স্থাপিত হলে রাজশাহী অঞ্চলে উৎপাদিত কৃষিপণ্য খুব কম খরচে ভারতে বাজারে যাবে।এরফলে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো সহজ হবে। দু’দেশের নিরাপদে ও কম খরচে মানুষ যাতায়াতও করতে পারবেন। এ লক্ষ্য বাংলাদেশ ও ভারতের অন্তত ৮টি ড্রেজার পদ্মা খননে কাজ করবে। এরইমধ্যে একটি ড্রেজার কাজ শুরু করেছে।

সিটি মেয়র লিটন বলেন, ১৯৬২সালে স্থাপিত রাজশাহীর বিসিক এলাকা। কিন্তু এখানে এখন ধানের চাতালে ভরে গেছে। ধানের চাতালের জন্য বিসিক হয় নি। ক্ষুদ্র বা মাঝারি শিল্প কারখানা না করে যারা অন্য কিছু করছেন তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়ারও ঘোষণা দেন তিনি।

মেয়র জানান, রাজশাহীকে ঘিরে নানা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে। এরমধ্যে সায়েন্স সিটি, বিসিক ফেজ-২, চামড়া শিল্পনগরী উল্লেখ্যযোগ্য। ভারতের সঙ্গে সরাসরি রেলযোগাযোগ স্থাপন ও রাজশাহীর হযরত শাহ মখদুম বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিকমানে উন্নীত করতে ইতোমধ্যে আলাপ-আলোচনা এগিয়ে যাচ্ছে।

মেয়র আরো বলেন, রাজশাহীতে শিল্পায়নের লক্ষ্যে সিটি কর্পোরেশনের পরিধি বাড়ানো হবে। এরইমধ্যে পাওয়ার চায়নার সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। তারা ২০৭২সাল পর্যন্ত রাজশাহীর মাস্টারপ্লান তৈরি করে দেবে। রাজশাহীর উন্নয়নে চীনা কোম্পানি কয়েক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। ফলে আগামী ৫বছরের মধ্যে পাল্টে যাবে রাজশাহীর চেহারা। এতে বিনিয়োগকারী শিল্প কল কারখানা স্থাপনে এগিয়ে আসবেন। ফলে কর্মসংস্থানের অবারিত সুযোগ তৈরি হবে।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, মেয়রপত্নী শাহিন আকতার রেনি, প্যানেল মেয়র-১ সরিফুল ইসলাম বাবু, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাওগাতুল আলম ও প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক।

 


Exit mobile version